শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রথম দল

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৪২ এএম | আপডেট : ১২:১০ পিএম, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজে রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটি ভাসানচরের উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম ছেড়েছে। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায় পতেঙ্গা নৌবাহিনীর বোটক্লাব জেটি থেকে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা নিয়ে কয়েক টি জাহাজ শুক্রবার সকালে যাত্রা শুরু করে। ভোর থেকে তাদের জেটি এলাকায় আনা হয়। স্বেচ্ছায় উন্নত জীবন যাপনের আশায় রোহিঙ্গারা নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন বলে জানান।

দলটি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয়। দলটিতে নারী-পুরুষ-শিশু মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ছয়টি ও সেনাবাহিনীর একটি জাহাজে এই রোহিঙ্গারা যাত্রা করেছে। দুপুরের দিকে তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম কে জামান শামীম
সাংবাদিকদের বলেন, নৌবাহিনীর ছয়টি এলসিইউতে ও সেনাবাহিনীর জাহাজ শক্তি সঞ্চারে করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নৌবাহিনীর জাহাজ শাহ মখদুম ও শাহ পরানে করে রোহিঙ্গাদের মালপত্র সকালেই ভাসানচরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের এই বহরের সঙ্গে নৌবাহিনীর দুটি ও কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজ রয়েছে। এ ছাড়া আছে দুটি হাইস্পিড বোট, দুটি ডিফেন্ডার বোট ও চারটি কান্ট্রি বোট।

এর মধ্যে দিয়ে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন ধাপে ২১ বাসে শতাধিক পরিবারের দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া ছেড়েছেন।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাদের চট্টগ্রামে আনা হয়। রাতে তাদের পতেঙ্গার বিএএফ শাহীন কলেজে রাখা হয়।
জানা গেছে পর্যায়ক্রমে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হবে।
এজন্য নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৪টি জাহাজ।

স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের গত বুধবার রাত থেকে উখিয়া কলেজ মাঠে আনা হয়। সেখানে অস্থায়ী ক্যাম্পে খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। পরে তাদের ডাটাএন্ট্রি করে বাসে তোলা হয়। রোহিঙ্গাদের পরিবহনের জন্য শতাধিক বাস, ৪০টি মালাবাহী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে। আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে।

সেখানে এক লাখ এক হাজার ৩৬০ জন বসবাস করার মত গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা এক হাজার ৪৪০টি। রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় দুটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন