স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। তিনিই দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছেন। বেলুচিস্তান বা কাশ্মির এখনো স্বাধীনতা পায়নি। বঙ্গবন্ধু এদেশকে স্বাধীন করেছিল বলেই আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। কাজেই বঙ্গবন্ধুর সম্মানে দেশে যে ভাস্কর্য হবে তা নির্মাণে কেউ বাধা দিতে আসবেন না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এদেশের মাটিতে হবেই।
পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর এই সভায়র আয়োজন করে। পরিবার পরিকল্পনা সপ্তাহ পালন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, অন্যান্য বছর ব্যাপক পরিসরে পরিবার পরিকল্পনা সপ্তাহ পালন করা হয়। তবে এবছর কভিডের কারনে কিছুটা সীমিত পরিসরে পালন করা হচ্ছে। কভিডের কারনে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কোন ঘাটতি হতে দেয়া হয়নি। দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। টীকাদান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। ভ্যাক্সিন আনার কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। এন্টিজেন টেস্ট প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের ১০ জেলায় একযোগে এন্টিজেন টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই টেস্টের মাধ্যমে মাত্র ১৫-৩০ মিনিটেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এর ফলে দেশে কভিড পরীক্ষার আরেকটি নতুন ধাপ সংযোজিত হয়েছে। মানুষ এখন সচেতন হলে কভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সামলানো সহজ হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনার কারণে বড় বড় রাষ্ট্রগুলো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লকডাউন হয়ে যাচ্ছে, শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা সেসব দেশের তুলনায় অনেক ভালো। করোনা পরীক্ষার পরিধি বেড়েছে জানিয়ে রোগীদের হাসপাতালে এসে করোনা পরীক্ষা করানো ও সেবা নেওয়ার আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। রোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আসুন, পরীক্ষা করান, চিকিৎসা নিন, সেবা নিন, আপনারা ভালো থাকবেন। করোনার কারণে একসঙ্গে কোভিড নন-কোভিড দুই ধরনের সেবা দিতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার কারণে আমাদের ঘরে ডেলিভারি বেড়েছে। তবে আমরা চাই প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি বাড়ুক।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০০ শয্যাবিশিষ্ট লালকুঠি, মিরপুর মাতৃ ও শিশুশিক্ষা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি বকুল ফুল গাছের চারা রোপন করেন।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি) এর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর নাসিমা সুলতানা প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে ৮টি বিভাগে, ৬৪ জেলা, ৪৮৮টি উপজেলার ৬০টি মা-শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ৪০০৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র অর্থাৎ মোট ৪৬৮২টি সেবাকেন্দ্র থেকে একযোগে পালিত হচ্ছে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২০।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন