বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : জাতীয় ঈদগাহ ময়দান কর্তৃপক্ষ সমীপে

প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আমাদের জাতীয় ঈদগাহ বাংলাদেশের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঈদের ময়দান। মহামান্য রাষ্ট্রপতি থেকে মন্ত্রী, এমপি, সচিবসহ দেশের সর্বস্তরের সকল শ্রেণীর ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দুই বার এখানে সমবেত হন। অতীব দুঃখের বিষয়, এ ময়দানটি পাকা না থাকায় মুসল্লীগণ বর্ষার মৌসুমে বড় ধরনের অসুবিধা ভোগ করে আসছেন। বর্ষার সময়ে ময়দানে প্যাক-কাদার কারণে তাদের জামা-কাপড় নোংরা হয়ে পড়ে এবং এ কাপড় নিয়েই তাঁদের ঈদের নামাজ পড়তে হয়। ময়দানটি পাকা হলে এ অবস্থা হতো না। উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর প্রতি ঈদে বাঁশ ও শ্রমিকের পেছনে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়। অথচ ময়দানটি পাকা হলে শামিয়ানারও প্রয়োজন হয় না। প্রকাশ থাকে যে, ঈদের নামাজ সকাল সকাল অনুষ্ঠিত হয় বিধায় রোদের উত্তাপেরও প্রশ্ন জাগে না। ফলে, শামিয়ানারও প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) খোলা আকাশের নিচে ঈদের নামাজ আদায় করতেন এবং এটা সুন্নতও বটে। যেহেতু ময়দানটি জাতীয় ঈদগাহ হিসেবে স্বীকৃত সে হিসেবে স্থায়ীভাবে ময়দানটি পাকা করতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। তাই প্রতি বছর বার বার লক্ষ-লক্ষ টাকা ব্যয় না করে স্থায়ীভাবে সুন্দর করে একবারেই পাকা করা উচিত মনে করি। এতে করে জাতীয় অর্থও অপচয় হবে না। এমতাবস্থায় চলতি বছরেই ময়দানটি জরুরি ভিত্তিতে পাকা করা দরকার।
মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক, এমএ
সাবেক সিনিয়র শিক্ষক, সরকারি কারিগর উচ্চ বিদ্যালয়
বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।


ট্রেনে ছারপোকা
তূর্ণা এক্সপ্রেস এবং সুর্বণা এক্সপ্রেস ট্রেনে ছারপোকার যন্ত্রণা, মশা-মাছির উৎপাত এবং নিরাপত্তার ঘাটতি প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফিরছে যাত্রীদের। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অযতেœ ট্রেনে যাত্রীদের বসার আসনগুলো হয়ে উঠেছে ছারপোকাদের নিরাপদ আবাসস্থল। গত ২১ জুলাই চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে নির্ধারিত আসনে বসেই অনুভব করলাম, ছারপোকারা দলে দলে হামলে পড়ছে শরীরের ওপর। পাশের যাত্রী আমার অস্বস্তি দেখে বললেন এই ছারপোকা, মশা-মাছির যন্ত্রণা এখন গা সওয়া হয়ে গেছে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এভাবেই চলছে রেলওয়ের যাত্রীসেবা।
এই ছারপোকা আর মশামাছির যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে ট্রেনটি ফেনীর কিছু দূর আগে লাইন সিগন্যালিং ত্রুটিজনিত কারণে দাঁড়িয়ে যায়, সেখানে গভীর অন্ধকার রাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এ ছাড়া আরো কয়েকটি স্টেশনবিহীন স্থানে এই তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল কয়েক মিনিটের জন্য। এই সময়ে চুরি, ডাকাতি আর ছিনতাইয়ের ভয়ে তটস্থ থাকেন যাত্রীরা। এ অবস্থায় রেলের যাত্রীসেবার উন্নয়ন ঘটিয়ে নিরাপত্তা বিধানসহ ছারপোকার যন্ত্রণা, মশামাছির উৎপাত থেকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
শোভন দাশ বাবু
চট্টগ্রাম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন