ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে লাইসেন্স বিহীন শিরোমনি কিøনিকে ৪ মাসের মাথায় আবারো প্রসূতির মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।রুগীর অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত ৭টায় উপজেলার করিয়া কলন্দা গ্রামের লক্ষির স্ত্রী আদরী ৩ সন্তানের জননী, তার বাচ্চা ইস্যুর সময় হলে তার অভিভাবকরা তাকে শিরোমনি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এসময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে ওটি রুমে নিয়ে যায়। গর্ভবতী মাকে নরমালে বাচ্চা ইস্যুর চেষ্টা করার পর ব্যর্থ হলে ক্লিনিকের মালিক অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার কমলা কান্ত বর্ম্মন অস্ত্রোপচার করে জমজ দুটি সন্তান বের করে। একটি মেয়ে এবং অপরটি ছেলে।
ম্যানেজার অভি বলেন, সিজারের পর রুগীর একলেমসিয়া দেখা যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাত ১০টায় দিনাজপুর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। হাসপাতালে যাওয়ার আগেই পথিমধ্যে রুগী মারা যায়। তিনি বলেন, জমজ শিশু দুটি এখনো সুস্থ্য রয়েছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ক্লিনিকের অব্যবস্থাপনায় এভাবেই কেড়ে নিচ্ছে নিরহ নিষ্পাপ নবজাতক শিশুসহ গর্ভবর্তী মায়ের প্রাণ। জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট শিরোমনি ক্লিনিকে একই ঘটনায় উপজেলার কালুগাঁও গ্রামের সুরেনের স্ত্রী মালা রাণীর সিজারের ১৫ মিনিট পর শিশু মারা যায়। ইতোপূর্বে আরো ৩শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্রে জানা যায়। শিরোমনি ক্লিনিকে খোজ নিয়ে জানা যায়, একজন অবসর প্রাপ্ত ডাক্তার এই ক্লিনিকের মালিক। তিনি মানছেনা সরকারি কোন নিয়ম-নীতি। ইচ্ছেমতো চালিয়ে যাচ্ছে ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অদক্ষ টেকনিশিয়ান, নার্সসহ কর্তৃপক্ষের আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে চলছে সিজারিং এবং রুগীর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা। গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের কাছে অবৈধ পন্থায় হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। ভুক্তভোগী রুগীর অভিভাবকরা বলেন, এ ধরনের ঘটনার পরেও নেই কোন জবাবদিহী।
এ প্রসঙ্গে ক্লিনিকের মালিক ডা. কমলা কান্ত বর্ম্মন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গর্ভবর্তী মাকে অপারেশনের আধা ঘন্টা পর পেসার হাই হওয়ায় ব্রেনস্টোক করে। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। হাসপাতাল যাওয়ার সময় পথিমধ্যে রুগী মারা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, আমি কিছুই জানি না, তবে শুনেছি কি যেন শিরোমনিতে হয়েছে। আগে বিস্তারিত জানি তার পর না হয় বলবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন