মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামে সুপেয় পানি সঙ্কটে দুর্ভোগে পড়েছেন সহশ্রাধিক গ্রামবাসী। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের লোকজন পানি সরবরাহ পাইপ কেটে ফেলার কারণেই একমাস যাবৎ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। সমস্যা সমাধানের কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না দায়ী ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের বাসিন্দাদের পানির সমস্যা বিবেচনা করে কয়েক বছর আগে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় একটি প্রকল্প গ্রহণ করে গ্রামবাসীর সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় এক মাস আগে মাদারীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর থেকে রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রæভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এই এলাকার একটি সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু করে।
এই উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা সড়কের পাশে মাটির গভীরে থাকা পানি সরবরাহ পাইপ কেটে ফেলে। এতে করে প্রায় একমাস ধরে বন্ধ হয়ে গেছে পানি সরবরাহ। নষ্ট হয়েছে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ। সুপেয় পানির সঙ্কটে দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামবাসী। বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের লোকজনের সাথে আলাপ করলে তারা মামলা মোকদ্দমা ও মারধরের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে নির্মিত এই সড়কটি দুইপাশ থেকে এক ফুট করে সম্প্রসারণের কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের লোকজনের জোগসাজসে একপাশে দুই ফুট রাস্তা সম্প্রসারণ করছে। এতে করে পানি সরবরাহ পাইপ কেটে গেছে। এছাড়াও মানুষের ঘর বাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পানির কারণে আমরা দুর্ভোগে আছি। প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলী মারধর ও মামলা মোকাদ্দমার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশের আপত্তি জানিয়ে কর্মচারীরা জানিয়েছে মালিকের বাড়ি বরিশাল। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছের লোকজন কাজটি দেখাশোনা করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর মাদারীপুর অঞ্চলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মো. মাহবুব হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ঠিকাদারের অবহেলায় পানি সরবরাহ পাইপ নষ্ট হলে ঠিকাদার এটি মেরামত করে দিবে। না দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন