শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ : আজ শুভ বড়দিন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

আজ শুক্রবার খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এই দিনে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্যই যিশু জন্ম নিয়েছিলেন।

বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মাঝে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা আজ আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবে। সরকারি ছুটির দিন শুক্রবারেই বড়দিন পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক বাণীতে খ্রিস্টান স¤প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। রাজধানীর পাঁচতারা হোটেলগুলোতেও সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি ও আলোকসজ্জায় বড়দিনের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে ঘরোয়া পরিবেশে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। করোনা মহামারীর দরুণ দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি এবার ধর্মীয় গানের আসর কিছুটা শিথিল করা হবে। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকে বড়দিনকে বেছে নেয়।

এদিকে শুভ বড়দিন নির্বিঘেœ ও নিরাপদে উদযাপনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে উন্মুক্ত স্থান বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা, আতশবাজি ও ডিজে পার্টি। চার্চগুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। বড়দিন উপলক্ষে দেয়া বৃহস্পতিবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করব। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সকলে মিলে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। তাই এই দেশ আমাদের সকলের।

বড়দিন উপলক্ষে তিনি খ্রিষ্টান স¤প্রদায়ের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্ট এ দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তনই ছিল যীশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যীশু নিজেকে উৎসর্গ করেন। তাঁর জীবনাচারণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।

করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে এবারের বড়দিন পালনের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণে বর্তমানে বিশ্ব বিপর্যস্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে মহামারি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেশ ও জাতি তথা বিশ্ববাসীকে এই মহামারি হতে যেন মুক্তি দেন-এ প্রার্থনা করি। বড়দিনে প্রধানমন্ত্রী খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন