ঢাকার ধামরাই পৌরসভা নির্বাচনে পরবর্তী ব্যাপক সহিংসতা দেখা দিয়েছে। দুটি ওয়ার্ডে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে প্রায় ৩০ জন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, ধামরাইয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকল ওয়ার্ডেই সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরই চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। গত দুদিন ধরেই ওই এলাকায় চরম থম থম অবস্থা বিরাজ করে। গত মঙ্গলবার রাতে ৯নং ওয়ার্ডে বিজয়ী পৌর কাউন্সিলর আবু সাইদ ও প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আরফান আলীর লোকজনদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয় পক্ষের সোহেল রানা, আমিনুর, পারভেজ, ছানোয়ার, রেজাউল, রুবি বেগমসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে রাতেই ধামরাই থানায় আরফান আলীর সমর্থক আক্কাস আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান মনির বাদী হয়ে ৩০ জন ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। হামলার শিকার জুয়েল বলেন, প্রতিপক্ষরা আমার ডিসলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে কয়েকলাখ টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। একই অভিযোগ করেন ঢাকা জেলা পরিষদ সদস্য নাছিমা আক্তারের স্বামী আজগর আলী।
বিজয়ী প্রার্থী আবু সাঈদ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার সাথে ভোটে হেরে গিয়ে পরাজিত প্রার্থী আরফান আলীর সমর্থকরাই আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। হামলার স্বীকার হয়ে আহত অবস্থায় কয়েকজন সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন