কিছু দিন আগেই কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয় তার। করোনা পরিস্থিতিতে তাই তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি, জানিয়ে রাজনীতিতে না আসার অনুরোধ করেছিলেন ভক্তরা। সুপারস্টার প্রথমে সেই অনুরোধকে বিশেষ গুরুত্ব না দিলেও অবশেষে মানলেন।
দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরেই গুঞ্জন শোনা যায়, রাজনীতির ময়দানে নামবেন রজনীকান্ত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন তিনি নিজেই। এ মাসের শুরুর দিকে অবশ্য জল্পনা নিজেই উস্কে দিয়েছিলেন। অনুরাগীরা ভাবতে শুরু করেছিল, এই বুঝি দলের কথা ঘোষণা করবেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার সমস্ত গুঞ্জন শান্ত করে দিলেন দক্ষিণের সুপারস্টার রজনীকান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি জারি করে রজনীকান্ত জানিয়ে দিলেন, রাজনীতিতে তিনি আসছেন না। ট্যুইটারে নিজের মত বদলের কথা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, তাঁর সাম্প্রতিক অসুস্থতাকে ঈশ্বরের সতর্কবার্তা হিসাবেই দেখছেন তিনি। তাই এই সিদ্ধান্ত।
অর্থাৎ, ঈশ্বরের কাছ থেকে সাবধানবাণী পেয়েই রাজনীতিকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভেবেছেন রজনী। তাঁর বিবৃতিতে লেখা রয়েছে, 'ভোটের রাজনীতিতে যোগ না দিয়েই মানুষের জন্য কাজ করব। আমার সিদ্ধান্ত আমার ভক্তদের মন খারাপের কারণ হবে, কিন্তু দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন।' ৭০ বছরের অভিনেতা সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। সেই সময়ই রাজনীতি বিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রজনী। সম্ভবত, শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারকা অভিনেতা।
ডিসেম্বরেই তামিলনাড়ুর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর রাজনৈতিক দল রজনী মক্কল মন্দ্রমের ভোটে লড়ার কথা নিশ্চিতভাবে ঘোষণা করেছিলেন রজনীকান্ত। বেশ কয়েকটি বৈঠকও করেন তাঁর দলের জেলা সচিবদের সঙ্গে। কথা ছিল জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই রাজনৈতিক দলটি ভোটে লড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন। কিন্তু, বছরের শেষ সপ্তাহে হঠাৎই রজনী অসুস্থ হয়ে পড়ায় নাটকীয় বদল ঘটে গেল রাজনীতির আঙিনায়।
কিছুদিন আগে শ্যুটিং শুরু করেছিলেন তাঁর ১৬৮ নম্বর ছবি 'অন্নাথে'-র। হায়দরাবাদে চলছিল ছবিটির শ্যুটিং। সেখানে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন 'থালাইভা'। রক্তচাপের ক্রমাগত ওঠাপড়ার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল। গত রবিবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান দক্ষিণী সুপারস্টার। তার দু'দিনের মধ্যেই রাজনীতিতে না আসার সিদ্ধান্ত নিলেন রজনীকান্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন