বুড়িগঙ্গার পানি দূষণে দায়ী কেরানীগঞ্জ এলাকায় ৩০টি ওয়াশিং প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
৩০টি ওয়াশিং প্ল্যান্টের মধ্যে রয়েছে, আহমদ হোসেন,আমেনা,সান মুন, ইডেন, বিসমিল্লাহ লোটাস, গেøাবাল,রুবেল, আনুশকা, সততা, চঞ্চল, আবদুর রব,ঢাকা, আজান, নিউ সাহারা, দোহার, রিলেটিভ, নিউ নাশা, ইউনিক, মৌ, সেতু, কোয়ালিটি, জোয়েনা,কালাম,ওয়াটার কালার,পার জোয়ার, জিএম, কুমিল্লা, আছিয়া এবং লিলি ওয়াটার ওয়াশিং প্ল্যান্ট। একই সঙ্গে বুড়িগঙ্গা নদীতে কেউ যেন বর্জ্য ফেলতে না পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা যেন এর পানি ও পরিবেশ দূষিত করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতি মাসের প্রথম রোববার এই নির্দেশনা মেনে চলার অগ্রগতি সম্পর্কে একই আদালতে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১০ সালের মে মাসে বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধে নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে রিট করে। রিটের শুনানিতে সংস্থার প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন,পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রতিবেদন অনুযায়ী কেরানীগঞ্জ এলাকায় ৩০টি ওয়াশিং প্ল্যান্ট থেকে বুড়িগঙ্গা নদীতে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। আইন ও আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে নদীর পানি ও পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। অধিদপ্তর দু’বার দূষণকারী এসব কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিলো । পরবর্তীতে তারা আবারও কারখানা চালু করে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি আরও বলেন, এ জাতীয় কারখানার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিধি রয়েছে আইনে। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর এখনও কোনো মামলা করেনি। শুনানিকালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী ময়নুল হাসান এবং অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন