মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিপুল পরিমান জাল টাকাসহ দুই সদস্য গ্রেফতার

আশুলিয়ায় র‌্যাবের অভিযান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় লাখ জাল টাকা, বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, মো. মিজানুর রহমান (৩৯) ও মো. রেজাউল ইসলাম (৩৬)। 

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০) এর সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার রোববার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র‌্যাব জানায়, অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের দখল হতে ১লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যমানের জালনোট, ৫টি মোবাইল ফোন, ১টি কিবোর্ড, ২টি টোনার, ১টি ল্যাপটপ, ১টি লেমিনেটিং মেশিন, ১টি প্রিন্টার, ১০টি স্ক্যানার বোর্ড, ২টি থাই বোর্ড উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৮৫০ গ্রাম টু পার্ট পেপার জল ছাপ, ৩ বোয়ম সোনালী রং, ৫ টি এন্টি কাটার, ১ টি হিট লাইট, ৫ টি হিট লাইট বাল্ব, ৫ টি রাবার, ২ টি এন্টি কাটার বেøড, ২ টি ক্লাম, ৬ টি স্কেল, ২ টি ফয়েল পেপার, ১ টি হাতুড়ী, ৩ টি লিকুইড রং, ৩ টি গাম, ২ কেজি পেইন্ট, ২ কৌটা হলুদ রং, ৫ টি সেনসিটিজার, ২ টি ব্যাগ, ৪ টি থাইগ্লাস, ২২ কেজি টাকা বানানোর কাগজ উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রের মাধ্যমে জানতে পারে যে, রাজধানীর আশুলিয়া থানার দক্ষিণ ভাদাইল সাকিনস্থ হাজী নুরুল হক প্রি-ক্যাডেট হাইস্কুলের পার্শ্বে জাহাঙ্গীরের বাড়ির ৩য় তলার পূর্ব পাশের ফ্লাটে রুমের ভিতর একটি চক্র জাল টাকা তৈরি করে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে জালনোট ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান (৩৯) ও মো. রেজাউল ইসলাম (৩৬)কে বিভিন্ন মালামালসহ গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত মো. মিজানুর রহমান (৩৯)’কে প্রার্থমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে ২০১২ সালে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। ইতিপূর্বে ধৃত আসামী মাদক মামলায় পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয়ে ১বছর কারাভোগ করে। কারাভোগ শেষে গত ৩ মাস পূর্বে অধিক মুনাফার লোভে জাল টাকা তৈরি চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে। আর গ্রেফতারকৃত অপর আসামী মো. রেজাউল ইসলাম (৩৬) তার এই অবৈধ জাল টাকা তৈরীতে সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানা যায়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে তারা জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জালনোট তৈরি করে আসছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে জালনোট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করে জালনোট তৈরী করে। এরপর জাল টাকা তৈরি ও বিপণনের কাজে জড়িত চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। একটি গ্রুপ অর্ডার অনুযায়ী জাল নোট তৈরি করে, অপর গ্রুপ টাকার বান্ডিল পৌঁছে দেয়, আরেক গ্রুপ এসব টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেয়। আসামীরা প্যাকেট আকারে সুনির্দিষ্ট কিছু লোককে সরবরাহের নিমিত্তে বিপুল পরিমান জালনোট তৈরী এবং বাজারে সরবরাহ করে আসছিল বলে ধৃত আসামীরা স্বীকার করে। এবিষয়ে উদ্ধারকৃত জাল টাকা, সরঞ্জামাদি ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন