দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে একযোগে ‘দালালবিরোধী’ অভিযান শুরু করেছে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন। গতকাল ৫০০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২৪৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বাকিদের প্রায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ৬৮টি পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
র্যাবের একটি সূত্র জানায়, সকাল থেকে র্যাবের সব ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে প্রায় ৬৮টি অভিযান চালানো হয়। এতে ২৪৮ জনকে নগদ জরিমানা করে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৬ টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া ২৪৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (এক সপ্তাহ থেকে ছয় মাস) সাজা দেয়া হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি সময়ে আমরা দেখেছি বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ ও ভূমি অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক ভূক্তভোগী বিভিন্নভাবে প্রতারিত হয়ে র্যাবের কাছে অভিযোগ করেছে। পাশাপাশি র্যাব সাইবার মনিটরিং সেলের মাধ্যমে সাইবার ওয়ার্ল্ডেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে। এছাড়া র্যাব সদর দপ্তরের ফেসবুক পেজেও (র্যাব অনলাইন মিডিয়া সেল) অনেক ভুক্তভোগী প্রতারিত হয়েছে জানিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযানে আমাদের সঙ্গে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা মেডিকেলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রোগী আসে। তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্স চালক ও দালালরা। আমরা ৩০ জন দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছি। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক আশরাফুন নাহার সাংবাদিকদের বলেন, ঢামেক হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন