শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ ১০ দেশের ৫টিই মধ্যপ্রাচ্যের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনা সংকটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই ছিল দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশাক্তি। মহামারির মধ্যে গেল মাসগুলোর পাঠানো রেমিট্যান্স অতিতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে। এর মধ্যে মূল ভ‚মিকা পালন করছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। প্রবাসী আয় পাঠানোর শীর্ষে থাকা ১০ দেশের মধ্যে ৫টিই হলো মধ্যপ্রাচ্যের। সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সউদী আরব থেকে। দেশটিতে অবস্থান করা প্রবাসীরা অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৩০৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের প্রায় ২৪ শতাংশ। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও করোনায় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী মহামারিতে প্রবাসীরা একধরনের অনিশ্চয়তার কারণে জমানো টাকা দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রবাসীরা এর মধ্যে অন্যতম। এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই- ডিসেম্বর) প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ২৯৪ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সাত দেশ থেকে এসেছে মোট রেমিট্যান্সের ৫৬ শতাংশ বা ৭২৩ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, বাংলাশে ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে অন্য দেশগুলো হলো-যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ওমান, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর।
চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে রেমিট্যান্স আহরণের দ্বিতীয় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৫ কোটি ডলার। তৃতীয় মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৭ কোটি ডলার । চতুর্থ অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়া থেকে এসেছে ১১৪ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ১০২ কোটি ডলার।
রেমিটেন্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল। তারও আগে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই সময় রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
মাস হিসেবে তুলনা করলে দেখা যায়, নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ২৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ২২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। কোনো একক মাসে এত বেশি প্রবাসী আয় আগে আসেনি। এর আগে একক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল ঠিক আগের মাসেই, জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ডলার (প্রায় ১৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা)। সেই হিসাবে এক মাসেই প্রবাসী আয় বেশি এসেছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। সেপ্টেম্বারে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৪৫.৬৩ শতাংশ বেশি। সেপ্টেম্বরে ১৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ডলার। নভেম্বরে রেমিট্যান্স ২০৭ কোটি ডলার যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
মোঃ দুলাল মিয়া ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৫০ এএম says : 0
এতে কথা বলার কি দরকার এই খবর গুলি মধ্যপ্রাচ্যের সরকারের দৃষ্টিতে যখন যায় তখন তাহারা বলে আমাদের দেশের টাকা অন্য দেশে চলে যাইতেছে তখন তারা শক্ত অবস্থানে থাকে।তাই এই গুলি পকাশ করার দরকার নাই।
Total Reply(0)
Mohammad Hossain ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ২:২১ এএম says : 0
We should respect to immigrant
Total Reply(0)
Safi ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:০৭ পিএম says : 0
হা এগুলো সংবাদ প্রকাশ করা ঠিক না তায় সাংবাদিক ভাই দের পতি অনুরোধ রইলো খবর গুলো দেসের স্বার্থে প্রচার না করার জন্য অনুরোধ রইল।
Total Reply(0)
Omor Faruk ১৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:১২ পিএম says : 0
ভাই,এভাবে লিখবেন না,আমাদের ইনকামের উপর আঘাত আসে মানে বললে এটাই বলতে হয় আমার দেশের ইনকামের উপর একটা চপটঘাত,সবাই জানে,প্রবাসের রেমিটেন্স না থাকলে বাংলাদেশের কোন অফিসার ৩০.৪০.৫০.৬০.৭০.৮০.৯০ হাজার এবং এক লাখ দেড় লাখ টাকা বেতন খাওয়া লাগত না। কারো বেতন ১০/২০ হাজার টাকার বেশী মিলত না, প্রবাসীদের ঘামের পয়সায় দেশ ও দেশের জনগন ভাল আছে দোয়া করি আল্লাহ আমাদের দেশ টা আরো সুখী সামরিধ্য রাখুক,দেশের জনগন আরো সুখী হক যদি ও তা আমরা প্রবাসীর মাথার ঘাম পায়ে ফেলার মাধ্যমে হয়, প্লিজ দয়া করে আমাদের মত প্রবাসীদের কে নিয়ে, আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন না। প্রবাসীরা কত কস্ট করে তা যদি বুঝতে চান তাহলে আপনার পরিবারপরিজন থেকে অন্তত ২টি বসর দূরে থেকে দেখুন কেমন লাগে যদি আপনার শরীরে আপনার পিতার হালাল রক্ত থেকে থাকে। ২টি ঈদ,কোন বিয়ে শাদী,বাচন মরন সকল প্রকার আনন্দ উল্লাশ থেকে আমরা প্রবাসী ১০০% বঞ্চিত। আমরা প্রবাসী - আমাদের রিদয় শুধু দুঃখ গাথা। তার পরেও আমাদের কোন অনভুতি নেই,আমাদের রিদয়ের চামড়া বলতে পারেন গন্ডার বা কুমিরের চামড়ার মত,আমাদের কে যতই পিটান আমাদের তা অনুভুতি নেই,আমাদের শরীরে কোন রাগ ও নেই,কারন আমাদের চামড়া কুমির বা গন্ডারে চামড়ার মত মোটা,তবে যখন কেউ পিটায় তখন বুঝি আমাদের কে পিটায়তেছে,কিন্তু উহ বা আহ বলার সাহশ ক্ষমতা কোনটিই আমাদের নেই। সে পিটানোর অংশিদারে আপনপর কমবেশী সবাই থাকে। সরবোপরী আমরা প্রবাসী সবাই বলা যায় এক ধরনের নিরজীব - যাদের রিদয়টা মনে হয় কোঠিন থেকে কঠিন কোন শিলা পাথর দারা নিরমিত। যাদের রিদয়ে আলো বাতাস ঠান্ডা শীত গ্রিস্ম কোন কিছুই আমাদের কে দমিয়ে রাখতে পারে না,হয়তবা আমরা প্রবাসী আসলেই কোন নিশপ্রান অন্যকোন গ্রহের নিরজীব যারা শুধু দিতে যানে বাট নিতে জানে না। এটা একটা আলাদা জগত,এ জগতে যেই আসবে তার একটা বড় সাথী বা সংগী আছে তার নাম কি জানেন? নিশব্দে চোখের পানি গড়িয়ে পড়া। যা কেও দেখে না,দেখে শুধু আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাত, আর দেখে বালিশ আর কম্বল,কারন এ যা কিছু ঘটে তা কেবল মাত্র শুধু মাত্র বালিশ কম্বল ছাড়া দুনিয়ার অন্য কারও দেখার সুযোগ নেই,আর আল্লাহ পাক চিরনতন দরশক তিনি ই দেখেন এবং তিনিই আমাদের সকল প্রবাসী কে অভয় দেন। মাঝে মাঝে দুঃখ লাগে যখন শুনি অমক ভাই দুঃখের বুঝা সইতে না পেরে নিজেই নিজেকে সেশ করে দেন। দোয়া করি আল্লাহ পাক সকলের প্রতি সহায় হোক। আল্লাহুম্মা আমীন।।।।।।।।।।।। যে যেখানেই আছে/আছেন,আল্লাহ পাক সকল ভাল রাখুক। এ কামনাই করি। আল্লাহ হাফেজ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন