রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের দুরবস্থা

প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলাধীন কেরনখান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে কোড়ের পাড়া গ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ব্যক্তিগত দানকৃত পাঁচ শতাংশ জমিতে স্থাপিত হয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রতিদিন মহিলাদের সেবা নিতে দীর্ঘ লাইন দিতে দেখা যায় কিন্তু মাত্র কয়েক বছর আগে নির্মিত ক্লিনিক ভবনটির দুরবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টি হলেই এর ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে মেঝে সয়লাব হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় আসবাব ও কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ছাদের রড বেরিয়ে পড়েছে। যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ে চরম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভেতর-বাইরের সব প্লাস্টার বৃষ্টির পানি এমনকি বাতাস লাগলেও খসে পড়ছে। রোগীদের জন্য একটি বিছানা (বেড) দেওয়া হলেও তা পাতা যাচ্ছে না। ক্লিনিকের পাশে পল্লী বিদ্যুতের লাইন থাকলেও ক্লিনিকে স্থানীয় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ভেতরের অতি প্রয়োজনীয় টিউবওয়েলটি মেরামতের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে। ক্লিনিকে যাতায়াতের কোনো রাস্তা (অ্যাপ্রোচ রোড) নেই। নিরাপত্তার জন্য বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ অতি জরুরি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মমিন সরকার, ঢাকা।

পরিত্যক্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায় শপিংমল চাই না
পুরান ঢাকার চকবাজার সংলগ্ন সদ্য পরিত্যক্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শপিংমল স্থাপনের জন্য একটি অর্থলোলুপ গোষ্ঠী লিপ্ত আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের এরূপ পরিকল্পনা নস্যাৎ করার জন্য আমরা সরকারের সুবিবেচনার জন্য কিছু জনহিতৈষী প্রস্তাব উত্থাপন করছি। ১) কারাগারের অভ্যন্তরে একাধিক পুকুরকে সুইমিং পুলের আদলে রূপান্তর করা হোক। ২) তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের প্রশস্ত ওয়াক ওয়েসহ বৃক্ষশোভিত একটি উদ্যান তৈরি করা হোক। ৩) জিমনেসিয়ামসহ একটি ইনডোরগেম স্টেডিয়াম তৈরি করা হোক। ৪) একটি ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হোক ৫) একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ তৈরি করা হোক।
প্রসঙ্গত, পুরান ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতি এলাকা। ৩০/৩৫ লাখ লোক বসবাস করলেও সেখানে অবসর বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত স্থানের অভাব প্রকট। এ অভাবটি সরকার বহুলাংশে পূরণ করতে পারে যদি পরিত্যক্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ৮০ বিঘা জমির ওপর উল্লিখিত প্রস্তাবিত সুইমিং পুল উদ্যান, ইনডোর স্টেডিয়াম, ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক মঞ্চ ইত্যাদি তৈরি করা হয়। আমরা আশা করি, সরকার জনস্বার্থে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কোনো শপিংমল পরিকল্পনা অনুমোদন করবে না।
হাজী মো. শহীদ মিয়া, নিমতলী, হাজী মো. আলী বশির, আগাসাদেক রোড, নুরুল হক, হীরা, আলমগীর, বেগম বাজার, মো. বশির, শান্ত, আসিফ, আবুল হাসনাত রোড, ঢাকা।

কলেজ জাতীয়করণের আবেদন
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মো. আবদুল মজিদ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলাধীন নদীবন্দর রামচন্দ্রপুরে নিজস্ব অর্থায়নে ১৯৯৫ সালে অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় এ কলেজের ৭ জন, ১৯৯৮ সালে ৯ জন, ১৯৯৯ সালে ১৯ জন, ২০০০ সালে ২৪ জন, ২০০১ সালে ১৮ জন, ২০০২ সালে ১৫ জনসহ সর্বমোট ৯২ জন শিক্ষার্থী কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান পায়। কলেজটিতে প্রতিষ্ঠাতা পাঁচ একর জমি দান করেছেন। বর্তমানে ¯œাতকসহ মোট ১৬৪১ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এমপিও নন এমপিও ৫০ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত আছেন। গত জুন মাসে দেশের ১৯৯টি কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা হলেও এ কলেজটির নাম ওই তালিকায় নেই। অথচ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় গ্রাম দিয়ে শহর আলোকিত করছে অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ, গরিবদের নটর ডেম ইত্যাদি শিরোনামে আসা এ কলেজটি শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কলেজটি জাতীয়করণ করলে মুরাদনগর, হোমনা, বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর উপজেলার প্রায় দুই লাখসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আবু হানিফ ভূইয়া, প্রভাষক, রসায়ন, অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ, রামচন্দ্রপুর, মুরাদনগর, কুমিল্লা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন