শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৫ এএম

প্রশ্ন : আমার বউ পর্দা করতে পছন্দ করে না। বারবার বোঝানো সত্ত্বেও রাজি হচ্ছে না, বা কিছুদিন করে আবার ছেড়ে দেয়। এমতাবস্থায় আমি মুরব্বিদের সহযোগিতা নিয়েও ব্যর্থ হয়েছি, কি করব?
উত্তর : নম্রতার সাথে উপদেশ ও চেষ্টা চালিয়ে যান। কিছুদিন যেহেতু করে পরে ছেড়ে দেয়, আশা করা যায়, একসময় পর্দা করবে আর ছেড়ে দেবে না। আল্লাহর নিকট খাসভাবে দোয়া চালিয়ে যান। একসময় সব ঠিক হয়ে যাবে। ‘ব্যর্থ হয়েছেন’ এমন মনে করা ঠিক হবে না। দীর্ঘ সময় নিয়ে ধৈর্য সহকারে পরিবর্তনের চেষ্টা করা মানুষের মনকে প্রস্তুত করার সঠিক পথ। তা ছাড়া পর্দা বলতে শরিয়তের চাহিদার চেয়ে বেশি কিছু সমাজে চাপিয়ে দেয়া হয়। এ জন্যও অনেকে মানুষের মনগড়া কঠিন পর্দা পালন করতে পারে না। পর্দার সহনীয় ইসলামসম্মত পদ্ধতি নারীদের জন্য সহজে পালনীয়। এসব বিষয় বিজ্ঞ আলেমদের সহায়তায় সকলেই জেনে নিন। আশা করি আপনিও কামিয়াব হবেন।
প্রশ্ন : আমি সরকারি অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করি। ঘুষ নেই না, গ্রামের বাড়িতে একটি মাদরাসা চালাই, তাই বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে দান গ্রহণ করি। এটা কি ঠিক হচ্ছে?
উত্তর : ঘুষ নেয়া হারাম। যে অনিয়মের জন্য ঘুষ নেয়া হয়, সেখানে ঘুষ না নিয়ে চাঁদা নেয়াও হারাম। হোক তা নিজে খাওয়ার জন্য অথবা মসজিদ-মাদরাসার জন্য। নবী করিম (সা.) এক সাহাবীকে সরকারী কাজে নিয়োগ করেন, তখন সে সাহাবী রাজস্ব বাবদ কিছু অর্থ নবীজির (সা.) কাছে জমা দেন। আর কিছু অর্থ এ বলে নিজের কাছে রেখে দিতে চেষ্টা করেন যে, এসব মানুষ আমাকে হাদিয়া দিয়েছে। হুজুর তখন বললেন, তোমাকে যদি এ পদে না বসাতাম, তাহলেও কি তারা তোমাকে এসব হাদিয়া দিত? সাহাবী বললেন, কখনোই না। তখন নবীজি (সা.) বললেন, এগুলোও বায়তুল মালে জমা করে দাও। কেননা, ক্ষমতাসীনদের হাদিয়াও ঘুষ। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন, এসব চাঁদা যদি মানুষ কোনো স্বার্থ ছাড়া শুধুই আল্লাহর ওয়াস্তে খুশি মনে দেয় তাহলে এক কথা। আর যদি ঘুষ দিতে হয় না বলে আপনার মন যোগাতে আপনার মসজিদ মাদরাসায় চাঁদা হিসেবে দেয়, তাহলেও এসব থেকে বেঁচে থাকাই ভালো। এসব সন্দেহজনক আয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
এন+ইসলাম ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:১২ পিএম says : 0
প্রশ্নকর্তা ও উত্তরদাতা উভয়ের প্রতিই সালাম রইলো । এধরনের অফিসে আমার লেনদেন করার তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, আমার যৎসামান্য ইসলামী জ্ঞানমতে এসব দান পুরোপুরিই হারাম হওয়ার কথা । কারণ, এখানে কাউকে ঘুষ, আবার কাউকে মসজিদের নামে দান করতে হয় । ঘুষ বা দান না করলে সাধারন সেবাপ্রার্থীদের কাজ সমাধা হয়না । ওই পদে না থাকলে প্রায় কোন সেবাপ্রার্থীই তাঁদের কথায় দান করতেননা । প্রশ্নকর্তাকে আল্লাহ্ যথাযথ বুঝ এবং উত্তরদাতাকে আল্লাহ্ উত্তম প্রতিদান দিন ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন