স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ ১৩টি ইসলামী সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে নেতারা বলেছেন, একটি মুসলিম রাষ্ট্রে পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসের নামে ইসলামবিরোধী এবং মুসলমানদের ঈমানে ও হৃদয়ে আঘাত করার মতো শব্দ, ঘটনা ও বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করে কুফরি সিলেবাস চালু করে পাঠ্যপুস্তকে কট্টর ইসলামবিরোধী হিন্দু ও নাস্তিক লেখকদের লেখাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
পবিত্র দ্বীন ইসলামকে যারা কটাক্ষ করে লেখালেখি করে তাদের লেখা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষা সিলেবাসের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষাদানের নামে কোমলমতি মুসলিম শিশু-কিশোরদের এমন সব বিষয় শেখানো হচ্ছে, যা বিস্ময়কর। এসব বিষয় পড়ে কোমলমতি মুসলিম শিক্ষার্থীরা সঠিক আক্বীদা থেকে ভ্রষ্ট হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে তাদের ঈমান-আক্বীদা, যা ৯৫ শতাংশ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ সিলেবাস দিয়ে জামাতি-হেফাজতিদের আন্দোলনের ইস্যু করার সুযোগ বন্ধ করতে হবে এবং সরকারকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের থেকে বিচ্ছিন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, তাদের জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত এবং প্রাধান্য না দিয়ে বর্তমান পাঠ্যপুস্তকে কট্টর ইসলামবিরোধী লেখকদের লেখাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। পবিত্র দ্বীন ইসলামকে কটাক্ষ করে যারা লেখালেখি করে, তাদের লেখা প্রায় প্রত্যেক শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত গল্প ও কবিতার সংখ্যা ১৯৩টি। এর মধ্যে হিন্দু ও নাস্তিকদের লেখার সংখ্যা হলো ১৩৭টি, যা সর্বনি¤œ শতকরা ৫৭ ভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৮২ ভাগ প্রাধান্য পেয়েছে। অবশিষ্ট ১৮ থেকে ৪৩ ভাগের মধ্যেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং আওলিয়ায়ে ক্বিরামগণের জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। নাউযুবিল্লাহ!
বক্তারা বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র পালের প্রশ্রয়ে অধিকাংশ পাঠ্যপুস্তকে অন্য ধর্মীয় তত্ত্ববাদ ঢোকানো হয়েছে। ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানী রীতি-ঐতিহ্য বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার ছদ্মাবরণে পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম ও মুসলমানবিদ্বেষী প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, শব্দ প্রাধান্য দিয়ে ইসলামবিরোধী চেতনা প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নেতারা বলেন, বর্তমান সিলেবাস ও পাঠ্যসূচি দেখলে মনে হয়, এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এদেশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের তাদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে অন্য ধর্মের আদর্শে প্রবেশ করানো।
প্রথম শ্রেণীর ‘আমার বাংলা বই’তে কৌশলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে ভিন্ন ধর্ম তত্ত্ববাদ। অক্ষর পরিচয় দিতে গিয়ে গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধে ঋষি, ওঝা, হিন্দু ঢাক, হিন্দুদের রথ, বাউলদের একতারা Ñ এ টার্মগুলো শেখানো হচ্ছে।
তারা বলেন, এদেশের মুসলমান কোমলমতি শিশুরা চতুর্থ শ্রেণীর ‘আমার বাংলা বই’য়ের অন্তর্ভুক্ত, কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা ‘নেমন্তন্ন’ কবিতা ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীরা শিখছে যে, ‘বাবু’ বলে একে অপরকে সম্বোধন করতে হবে, সাথে সাথে ‘ভজন’ তথা হিন্দুদের ধর্মীয় সঙ্গীত শুনতে হবে। শুধু তাই নয়, মন্দিরের ‘প্রসাদ’ও ভোজন করতে হবে।
পঞ্চম শ্রেণীর ‘আমার বাংলা’ বইয়ে ‘শখের মৃৎশিল্প’ অধ্যায়ে শেখানো হচ্ছে রাজা রামনাথ রায়ের ‘কান্তজীর মন্দির’, পাহাড়পুরের ‘বৌদ্ধ বিহার’, বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন ময়নামতির ‘শালবন বিহার’, মৌর্য, গুপ্ত এবং পাল হিন্দু সমান্তরাজাগণের রাজধানী ‘মহাস্থানগড়’ সম্পর্কে। ‘মহাস্থানগড়’ যেখানে অনেক পোড়ামাটির ফলক, মূর্তি পাওয়া গেছে; কিন্তু মহাস্থানগড়েই রয়েছে হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র মাজার শরীফ। যিনি মাছের পিঠে আরোহণ করে এখানে আসেন। অথচ তাঁর সম্পর্কে কোনো বর্ণনা নেই।
পঞ্চম শ্রেণীর আমার বাংলা বইয়ে ‘কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা’ অধ্যায়ে শেখানো হচ্ছে হিন্দু রানীদের পরস্পরের প্রতারণার গল্প, ব্রত অনুষ্ঠান, মন্ত্র পাঠ করে কীভাবে আসল রানী উদ্ধার পেল, নকল রানী ধ্বংস হলো।
একই বইয়ে সুকুমার রায়ের ‘অবাক জলপান’ অধ্যায়ে জল, মশাই, আজ্ঞে ইত্যাদি শব্দ শেখানো হচ্ছে। ‘মাটির নীচে যে শহর’ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, শিবপুর উপজেলায় মন্দিরভিটা থেকে ‘বৌদ্ধ পদ্ম মন্দির’ আবিষ্কৃত হয়েছে। জানখারটেকে ‘বৌদ্ধ বিহার’-এর সন্ধান পাওয়া গেছে। এভাবে সবকিছুতেই ইসলামবহির্ভূত সংস্কৃতি সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের ধর্ম তত্ত্ববাদ শেখাতে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা প্রথম পত্র পাঠ্যবই ‘সাহিত্য কণিকা’র ১৬ পৃষ্ঠায় কিছু শব্দার্থ হচ্ছে এভাবে : নাটমন্দির Ñ দেবমন্দিরে সামনের ঘর যেখানে নাচগান হয়। বোষ্টম Ñ হরিনাম সংকীর্তন করে জীবিকা অর্জন করে এমন বৈষ্ণব। কাপালি Ñ তান্ত্রিক হিন্দু সম্প্রদায়। চ-ীম-প Ñ যে ম-পে বা ছাদযুক্ত চত্বরে দুর্গা, কালী প্রভৃতি দেবীর পুজো হয়। দ-বৎ Ñ মাটিতে পড়ে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম। বর্তমান সিলেবাসের মাধ্যমে এভাবেই ছোটবেলা থেকে কোমলমতি শিশুদের হিন্দুত্ববাদ শেখানো হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, বর্তমান পাঠ্যপুস্তকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং আওলিয়ায়ে ক্বিরামগণের জীবনী মুবারক অবজ্ঞা করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! তাঁদের কোনো জীবনী মুবারক পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এতে দেশের ৯৫ শতাংশ মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ পাঠ্যপুস্তকে তাঁদের জীবনী মুবারক এবং ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে খোদাভীতি তৈরি হতো, জাহান্নামের ভয় তৈরি হতো, জান্নাতে যাওয়ার আকাক্সক্ষা তৈরি হতো। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সমাজে বিদ্যমান অনাচার-অবিচার, নারীটিজিং, মাদকাসক্তি, অশ্লীলতাসহ হাজারো অবৈধ কাজ থেকে বেঁচে থাকতে পারত। শুধু তাই নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাসীপনা, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি, জমিদখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদী-মৌলবাদী তৎপরতা থেকে বিরত থাকত। কারণ আমাদের নবীজি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম Ñ তিনি এসব অপরাধ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। অথচ এদেশের বাংলা সাহিত্যসহ সব পাঠ্যপুস্তকে তাঁর কোনো জীবনী মুবারক নেই।
তারা বলেন, এদেশের পাঠ্যপুস্তকে রূপকথা, কল্পকথা ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রাজপুত্র, রাজকন্যা, রাজা-রানীর কাহিনী জানে। তাদের কাহিনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হযরত আবনাউ বা ছেলে আলাইহিমুস সালাম, হযরত বানাতু বা মেয়ে আলাইহিন্নাস সালাম, তাঁর পরিবার-পরিজন বা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তাঁদের জীবনী মুবারক এবং যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদ আলাইহিস সালাম তাঁদের সাওয়ানেহ উমরী (জীবনী) মুবারক শিক্ষার্থীরা জানে না। তাঁদের জীবনী মুবারক পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
মানববন্ধনে উত্থাপিত অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে Ñ বঙ্গবন্ধুর নামের পূর্বে সব ক্ষেত্রে শহীদ বঙ্গবন্ধু ব্যবহার করতে হবে। ১৫ আগস্টকে জাতীয় শাহাদাত দিবস ঘোষণা করে জাতীয়ভাবে মিলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়ার আয়োজন করতে হবে।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার সাথে জড়িত মাদরাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনসমূহকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদকে অবমাননা করায় খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বইমেলায় ইসলাম অবমাননাকারী ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী এবং ইসলামবিদ্বেষী ও উস্কানিমূলক বই বিক্রি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। খালেদার উপদেষ্টা ও নাস্তিকঘেঁষা শফিক রেহমান কর্তৃক প্রচলিত ভ্যালেন্টাইনস ডে-সহ সকল অশ্লীলতা বন্ধ করতে হবে।
ইসলাম ও সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষকারী, মিথ্যা অপবাদকারী মন্ত্রী-এমপিসহ গয়েশ্বর মার্কা উগ্রবাদী মৌলবাদী হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক উস্কানিসহ সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মইত্যা রাজাকারের ফাঁসি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সাঈদীর ফাঁসির জন্য জোরদার আইনি প্রক্রিয়া চালাতে হবে। সাঈদীর ফাঁসি না হলে ওলামা লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব আলেম-উলামা লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে। বাংলাদেশবিরোধী কর্মকা- বন্ধে পাকিস্তান হাইকমিশনকে কড়া সতর্ক করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে ১১ মাস জেল খাটানোর দায়ে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করতে হবে।
বক্তারা বলেন, সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’। এদেশে প্রত্যেকটি নাগরিক সাংবিধানিকভাবে তার ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সকল মুসলিম ছাত্রছাত্রীও তাদের সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষণ করার দাবি রাখে। পড়ালেখার মাধ্যমে তারা এমন কোনো কিছু শিখবে না, যা দ্বারা তাদের ঈমান ও আক্বীদা ধ্বংস হয়, এটা অবশ্যই তাদের সাংবিধানিক অধিকার। অথচ পাঠ্যপুস্তকের নামে অবুঝ ছাত্র-ছাত্রীদের যা শেখানো হচ্ছে তা নির্মম ধোঁকাবাজি ছাড়া অন্যকিছু নয়, এটা অবশ্যই তাদের সাংবিধানিক ধর্মীয় অধিকার ক্ষুণœ করার শামিল। তাই ৯৫% মুসলমান অধ্যুষিত দেশের পাঠ্যপুস্তক থেকে সমস্ত ওহাবীবাদ, বাউলতত্ত্ব, হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বাদ দিতে হবে Ñ এটাই সমস্ত মুসলমানগণ তাঁদের ঈমানী দাবি।
আওয়ামী ওলামা লীগসহ ১৩টি ইসলামী সমমনা সংগঠনের মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর সাহেব, টাঙ্গাইল), সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন Ñ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক ওলামা লীগ, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সভাপতি সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, সভাপতি বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশন। হাজী মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ রুপগঞ্জী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওলামা লীগ, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক ওলামা লীগ, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি সহ সভাপতি ওলামা লীগ। হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি, সভাপতি, বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতিসহ ১৩টি ইসলামী সমমনা সংগঠনের অন্যান্য নেতা।
মানববন্ধনের পরে এক বিরাট মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাবে আসে। মিছিল শেষে শহীদ বঙ্গবন্ধু রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হায়াতে তৈয়বার জন্য দোয়া মোনাজাত করেন আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন