আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা শুনতে শুনতে জনগণও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই ১২ বছর চলে গেলো, কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর।’ তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আন্দোলন তো ঘরে শুরু হয়েছে টের পান না? আপনার ভাই কাদের মির্জাই তো আন্দোলন, আপনাদের এমপি নিক্সন চৌধুরী, শামীম ওসমানই তো আন্দোলন। আপনার যে এসপি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মারে, পেটায় সেটাই তো আন্দোলন। স্বাস্থ্য সচিবকে মেরে পুকুরে ফেলে দেয় ওইটাই তো আন্দোলন। আর কতো আন্দোলন দেখতে চান। আন্দোলন দেখতে চান? আন্দোলন দেখতে হলে সরকারি বাসা ছাড়েন, পুলিশ ব্যারিকেড, সিকিউরিটি ছাড়া রাস্তায় বের হন, দেখেন জনগণ কি আন্দোলন দেখায়।
মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচির পূর্বে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিন বছর যাবত অন্যায়ভাবে কারাবন্দী রাখার প্রতিবাদে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম এই মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এদেশের অপরাজেয় বাকশক্তির আধার, বার বার যিনি অন্ধকার গুহা থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছেন সেই নেত্রী শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন, জনগণের দুঃখে, দেশ ও জাতির সঙ্কটে যিনি জনগণের অধিকারের জন্যে জেল-জুলুম, টিয়ারগ্যাস শেল, সকল নির্যাতন-নিপীড়নকে বুকে ধারণ করে রাজপথে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড্ডীন করেছিলেন। সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায় শেখ হাসিনা। কারণ বেগম জিয়া যদি বাইরে থাকে দিনের ভোট রাতে করতে পারতেন না, অবৈধ ভোট করতে পারতেন না। এজন্য আজকে অন্যায়ভাবে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব একটাই সকল ব্যারিকেড ভাঙতে হবে, রাস্তায় নেমে গণতন্ত্র উদ্ধার ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও ফোরামের সদস্য সচিব নিপুন রায় চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জারিফ তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন