বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অবৈধ অনুপ্রবেশকালে ভূরুঙ্গামারীর সীমান্তে ৫ জন আটক

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:২৯ পিএম

ভূরুঙ্গামারীর পাথরডুবি সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ৫ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের সীমান্ত পিলার ৯৬৩/এমপি এর নিকট দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ কালে পাথরডুবি নামক এলাকার আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে ৫ ব্যক্তিকে আটক করে বাগভান্ডার বিওপি’র নিয়মিত টহল দল। আটককৃতদের ২ জন ভারতীয় এবং ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক বলে জানানো হয়।

আটক ভারতীয় নাগরিকরা হলেন ইস্ট দিল্লির গান্ধী নগরের গিতা কলোনীর গুরুদুয়ারা এলাকার ইমরান মলিকের ছেলে ফিরোজ মলিক (২০) যার ভারতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-৩৫২৫৪৫৩৫৫৯৯০)। বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার বাড়ী বাগেরহাট, তার বাবা ভারতে থাকে। দাদার বাড়ীতে বেড়াতে এসেছে। অপর ভারতীয় নাগরিক সাউথ দিল্লির সারিতাভির মাদানপুর খাদের জে জে কলোনীর বাসিন্দা আমির আলীর ছেলে মোঃ ওয়াদুদ (৩০) যার ভারতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-৪৯৬৯৭৯৬০৪৯২২। বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় , ছোটবেলায় তার বাবা তাকে ভারতে রেখে আসলে দীর্ঘদিন পরিবারের সাথে তার কোন যোগাযোগ ছিলনা।সম্প্রতি সে জানতে পারে তার বাবা গুরুতর অসুস্থ্য তাই বাবাকে দেখার জন্য সে বাংলাদেশে এসেছে। তবে তার পরিবারের কোন ঠিকানা বলতে পারেনি সে।

এই দুই ভারতীয় নাগরিক রাস্তাঘাট না চেনার কারণে আটককৃত বাংলাশেীদের সাথে সীমান্ত অতিক্রম করে বলে জানায়।

আটক বাংলাদেশী নাগরিকরা হলেন মোঃ সোহেল (২৭), রিপন মিয়া (৩২) ও সোহেল (১৯)। সোহেল সুনামগঞ্জ জেলার পল্লবপুর গ্রামের আঃ জলিলের ছেলে। রিপন মিয়া সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানার টেয়রাটিলা গ্রামের মৃত আঃ করিমের ছেলে ও সোহেল সুনামগঞ্জ থানার কদমতলী গ্রামের চঞ্চল হকের ছেলে। তারা সকলেই নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে ভারতে গিয়েছিল বলে বিজিবিকে জানিয়েছে।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এস এম তৌহিদুল আলম পিএসসি জানান, আটক ভারতীয় এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের নামে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দায়ের করে ভূরুঙ্গামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওসি মুহাঃ আতিয়ার রহমান আটক ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন