খরচ কম, ফলন বেশি ও বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিবছরই নাটোরের লালপুরে বাড়ছে বিনা হালে রসুনের চাষ। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় রেকের্ড পরিমাণ জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময়মতো সঠিক পরিচর্যা করায় এবার রসুুনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে উৎপাদিত রসুনের সঠিক বাজার দর নিয়ে হতাশায় রয়েছেন এই অঞ্চলের রসুন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলে ১ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। যা এই উপজেলায় রেকোর্ড পরিমাণ। হেক্টর প্রতি ৮ মেট্রিক টন হারে এ বছর উপজেলায় ১২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন রসুন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রসুন উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মাঠে এখন রসুুনের সমারহ। শেষ মূহুর্তে রসুনের জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আর কিছু দিন পরেই জমি থেকে রসুন ঘরে তুলতে শুরু করবে কৃষকরা।
উপজেলার রসুন চাষি মজনু আলী জানান, অন্য আবাদের চেয়ে রসুুন চাষে খরচ কম হয়। এক বিঘা জমিতে রসুুন চাষ করতে বিজ, শ্রমিক ও সারসহ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। চাষি মুজাম আলী জানান, গত বছর রসুনের দাম ভালো থাকায় এবার ৪ বিঘা জমিতে রসুনের চাষ করেছি। কয়েক দফা ঘনকুয়াশায় রসুনের কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার রসুন ভালো হয়েছে। বজারে ভালো দাম পেলে এক বিঘা জমির রসুন বিক্রয় হবে ৬০-৭০ হাজার টাকা।’
রসুন চাষি নাজমুল হক জানান, সরকার যদি দেশের বাইরে থেকে রসুন আমদানি না করে তাহলে এবার বাজারে সঠিক দামে রসুুন বিক্রয় করে লাভবান হবো আমরা।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর লালপুরে রেকোর্ড পরিমাণ জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। ঘনকুয়াশায় রসুনের কিছুটা ক্ষতি হলেও শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রসুনের বাম্পার ফলন হবে। বাজারে সঠিক দাম পেলে এই অঞ্চলের রসুন চাষিরা লাভবান হবে। পাশাপাশি আগামীতে এই অঞ্চলে রসুনের চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে রসুন চাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতায় মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন