কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা মারমুখী হয়ে বিএনপির পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা ও কর্মী সমর্থককে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বিএনপির এক সমর্থকের দোকান ও মটর সাইকেল ভাংচুর এবং অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ ফেব্রæয়ারি কেশবপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা হবে। দুই প্রার্থীই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের পক্ষে ভোট চেয়ে গনসংযোগ করছেন। মঙ্গলবার শহরের সোনাপট্টি এলাকায় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়কের নেতৃত্বে ছাত্রদল কর্মীরা ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা শুরু করেন। প্রচারনা এক পর্যায়ে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর কর্মী শহরের মধ্যকুল এলাকার জামাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। এসময় হামলাকারীরা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আজিজুর রহমানকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে আজিজুর রহমান মুক্তি পায় । এঘটনায় বুধবার ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী আব্দুস সামাদ বিশ্বাস বাদি হয়ে জামালসহ ৮ জনের নামে কেশবপুর থানায় একটি মামলা করেন। যার নং-১৮। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে এ মামলার আসামী আবু তাহের ও সিনবাদকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এঘটনার ১২ঘন্টার মধ্যে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ভোগতি এলাকায় যুবদল নেতা পলাশের বাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দীন বলেন, অপহরনের ঘটনায় মামলায় দুই ব্যক্তিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের আটকের অভিযান অব্যহত রয়েছে। এছাড়াও সহিংসতা এড়াতে শহরে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন