শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

১২ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়াই উত্তম

টিকা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৪ এএম

‘উপহার হিসেবে যে ভ্যাকসিন বাংলাদেশে এসেছে তা তৈরি হয়েছে জানুয়ারিতে, মেয়াদ শেষ হবে জুনে। তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ভ্যাকসিন শেষ করার জন্য সরকার চিন্তা করেছিল প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। কিন্তু বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে প্রথম ডোজ দেওয়ার আট থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হলে ইমিউমিনিটি তৈরি হয়। সেই চিন্তা করে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয় আট সপ্তাহ পরে। এতে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। তবে ১২ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারলে সবচেয়ে উত্তম। গতকাল এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ও জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তোপখানা রোডের বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘করোনা সংক্রমণের গতিবিধি ও টিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, গত চার সপ্তাহ যাবৎ আমাদের দেশের সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে। এটি আমাদের জন্য স্বস্তির খবর। তবে আমরা যেন আত্মতৃপ্তিতে না ভুগি। কারণ করোনা সংক্রমণ কমছে এটি ভালো খবর। এটি ধরে রাখতে হবে। একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেছে। যারা বিদেশ থেকে আসছে তাদের থেকেও নজর রাখতে হবে।

অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, দেশে সরকারিভাবে যে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে এর প্রথম চালানের ৫০ লাখ টিকা এনেছে। এগুলো ম্যানুফ্যাকচারিং হয়েছে অক্টোবর মাসে। এর কার্যকরী মেয়াদ ছয় মাস। এটি সরকার এনেছে জানুয়ারি শেষের দিকে। দেওয়া শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারির শুরুতে। এর মেয়াদকাল এপ্রিলের শেষের দিকে শেষ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, অক্টোবরের উৎপাদন করা ভ্যাকসিন আমদানি করলাম জানুয়ারিতে। আমাদের হাতে সময় খুব কম। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আমাদের বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হলো। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার মেয়াদকাল মাত্র ছয় মাস। এজন্য এটি আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের যারা জড়িত তাদের অবশ্যই এ বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

এসময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অনুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. সমীর কুমার সাহা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আবু জামিল ফয়সাল প্রমূখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন