ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ৮ দিনব্যাপী বিশ^ উরশ শরিফে লক্ষ লক্ষ মুছুল্লীর ঢল অব্যাহত রয়েছে। তবে এ উরশ শরিফে স্বাস্থ্য বিধিমেনে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেস করতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া সবগুলো প্রবেসমুখে হ্যান্ড সেনিটাইজার ছেটান হচ্ছে।
করোনা মহামারির ঝুকি ফলে একসাথে জনসমাগম এড়াতে এবার দেশের অন্যতম বৃহত এ দরবার শরিফে বার্ষিক উরশ শরিফ ৪ দিনের স্থলে দেশের সবগুলো বিভাগের জন্য ৮ দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সে হিসেবে গত শুক্রবার জুমার নামাজের মাধমে শুরু হওয়া এ উরশ শরিফ নির্ধারিত ছিল ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগের জন্য। শণিবার ফজরের নামাজ বাদে ফাতেহা শরিফ ও খতম শরিফ আদায়ন্তে বিশ^ জাকের মঞ্জিলেল পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের রওজা শরিফ জিয়ারতের মাধ্যমে আগের দিন আগত মুসুসল্লীদের বিদায় দেয় হয়। দ্বিতীয় দিনের দুপুর থেকে ঢাকা বিভাগের মুসল্লীগন প্রবেস করেন। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এভাবে প্রতিদিন একটি করে বিভাগের জাকেরান ও আশেকান সহ মুসুল্লীয়ানগন এ উরশে অংশ নেবেন।
এ মহা পবিত্র উরশ শরিফে ফজর থেকে এশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় সহ নফল নামাজ ছাড়াও বাদ ফজর ও বাদ মাগরিব ফাতেহা শরিফ পাঠন্তে মোনাজাত এবং এশা’র নামাজ বাদে ৫শবার দরুদ শরিফ পাঠ করে নবী করিম(সাঃ)-এর পাক কদম মোবারকে নজরানা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাদ ফজর খতম শরিফ পাঠ ছাড়াও মোরাকাবা-মোশাহেদা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আপন পীর উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুফী সাধক হজরত মাওলানা শাহ সুফী সৈয়দ খাজা ইউনুস আলী এরায়েতপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নির্দেশে বিশ^ জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব শাহ সুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু:ছে:আ:) ছাহেব বাংলা ১৩৫৪ সালে ফরিদপুরের আটরশী গ্রামে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত হয়েছিলেন। তার জীবদ্বশায় এ দরবার থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হেদায়াত প্রদান করে গেছেন। নানা গঞ্জনা ও প্রবল প্রতিকুলতা অতিক্রম করেও ২০০১-এর ১মে ওফাত লাভ পর্যন্ত তিনি ইসলাম প্রচারে ব্রতী ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন