সিলেটে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এসএমপি মোগলাবাজার থানার তোড়খলা এলাকা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করেছে ৮যুবক। এ ঘটনায় শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মোগলাবাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন কিশোরীর পিতা। কিশোরী সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে জেলা পুলিশের বিশ্বনাথ থানা এলাকার মাতাবপুর গ্রামের চেরাগ আলীর পূত্র সিএনজি অটোরিকশা চালক মুহিবুর রহমান (৩) ও এসএমপির জালালাবাদ এলাকার খালপাড় গ্রামের সোনা মিয়ার পূত্র আদিলকে (২২) আটক করেছে।
সূত্র জানায়, ঘটনার দিন কিশোরী বই নিয়ে আসার জন্য যাচ্ছিলো মাদ্রাসায় অভিমুখে। প্রতিমধ্যে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে ধর্ষকরা। এরপর নিয়ে যায় জালালাবাদ থানাধীন খালপাড়স্থ মামলার ২নং আসামী আদিলের দোকানে। সেখানে দোকানের পেছনের একটি ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয় তাকে।
এছাড়া ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরও কিশোরীর পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন সিএনজি অটোরিকশা চালক মুহিবুর রহমান। একপর্যায়ে অনেক খোঁজখবরের পর কিশোরীকে উদ্ধার করা হয় পুলিশের
সহায়তায়। মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হুদা খান বলেন, মামলার অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন