শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কোচিংয়ে ২ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গোদাগাড়ীর এক কলেজের অধ্যাপক গ্রেপ্তার

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:১৪ পিএম

সরকারি নির্দেশ মতে প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য নিষিদ্ধ থাকলেও বাজশাহী শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় দেদারসে চলছে এ অবৈধ কারবার। এ নিয়ে অহরহ ঘটছে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষদের অনৈতিক কারবার। সহস্যজনক কারণে প্রশাসন রয়েছে নিরব দর্শকের ভূমিকায়।

কোচিংয়ে দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজশাহীতে এক কলেজ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম আহাদুজ্জামান নাজিম (৩৭)। তিনি রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাট ডিগ্রি কলেজের উৎপাদন ও বিপন বিভাগের প্রভাষক তিনি।

নগরীর মহিষবাথান এলাকায় নাজিমের একটি কোচিং সেন্টার আছে। এটির নাম ‘নাজিম প্রাইভেট সেন্টার’। এখানে গত মঙ্গলবার দশম শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

এজাহারের বরাত দিয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে কোচিংয়ে দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটান প্রভাষক নাজিম। ওই দুই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। ওই দুই ছাত্রী তাঁর সঙ্গে না গিয়ে বাড়ি চলে যায়।

এরপর কোচিংয়ে আসা বন্ধ করে তারা। পরে শনিবার এক ছাত্রীর সহপাঠী ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে তাঁর অভিভাবককে ঘটনাটি সম্পর্কে জানায়। এরপর ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকসহ অন্য অভিভাবকেরা শনিবার সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টারটি ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে নাজিমকে থানায় নিয়ে আসে। এ নিয়ে রাতেই এক ছাত্রীর অভিভাবক বাদী হয়ে শিক্ষক নাজিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। রোববার সকালে নাজিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, আহাদুজ্জামান নাজিম রাজাবাড়ীহাট ডিগ্রি কলেজের উৎপাদন ও বিপণনের বিভাগের প্রভাষক। তবে নিজের কোচিংয়ে তিনি ইংরেজি পড়াতেন। তিনি মাঝে মাঝেই নানা অজুহাতে ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতেন। লজ্জায় কেউ কিছু না বলে কোচিংয়ে আসা বন্ধ করে দিত। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাজিম। নাজিম একাধিক বিয়ে করেছেন বলে এলাকাবসি জানান। কয়েক বছর আগে রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের হাতে তিনি লাঞ্চিত হয়েছিলেন বলে কলেজ শিক্ষার্থী দাবী করেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়ে ছিল।

এ ব্যপারে রাজাবড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সেলীম রেজা জানান, আমি কালকে খুব ব্যস্ত ছিলাম, বিষয়টি আমার জানা নেই। কলেজ ছুটি থাকায় আজকে সে কলেজে আসে নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন