যশোরের চৌগাছায় প্রতিবেশি মামা বাড়িতে যাওয়ার সময় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) দুই যুবকের ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ধর্ষক উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের আরাজি সুলতানপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে এক সন্তানের জনক সোহাগ হোসেন (২৫) ও বিটুল হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেনকে (২৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে দুই ধর্ষক।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটা দিকে উপজেলার একটি প্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ওই ছাত্রীর মা চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ রাতে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
ছাত্রীটির মায়ের লিখিত এজহার সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লোখাপড়া করে। বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বিদ্যালয়ের পাশের গ্রাম আরাজি সুলতানপুরের বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক সোহাগ তাকে বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দিতো। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার মেয়ের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো। গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি প্রতিবেশি মামা জনৈক আলমের বাড়ি যাচ্ছিল। এসময় গ্রামের কাঁচা রাস্থায় কেউ না থাকার সুযোগে সোহাগ নিজ গ্রামের বিপ্লবের সহায়তায় আমার মেয়ের মুখ চেঁপে ধরে জনৈক সুশংকর পরামানিকের কলাবাগানে নিয়ে যায়। তখন মেয়েটি চিৎকার করলে আসামিদ্বয় তাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে প্রথমে বিপ্লবের সহায়তায় সোহাগ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সোহাগের কামলালসা চরিতার্থের পর বিপ্লবও সোহাগের সহায়তায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে আমরা মেয়ে বাড়িতে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হয়ে রাত আটটার দিকে সুশংকরের কলাবাগানে তাকে কান্নারত বিধস্ত অবস্থায় দেখে উদ্ধার করি। মেয়ের নিকট বিস্তারিত জানার পর এই অভিযোগ করছি।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তিনি জানান মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মেয়েটির মায়ের করা মামলায় শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন