শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চার্চিলের চিত্রকর্মটি সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করলেন এ্যাঞ্জেলিনা জোলি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২১, ৭:১৩ পিএম

সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হল উইনস্টন চার্চিলের চিত্রকর্মটি। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিল ১৯৪৩ সালে ‘টাওয়ার অব দি কুতুবিয়া মস্ক’ ছবিটি আঁকেন এবং এটি ক্যাসাব্লাঙ্কা সম্মেলনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টকে উপহার দেন। মসজিদের টাওয়ার ছাড়াও মারাকাশ শহরের অপরুপ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন চার্চিল। এ ছবিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আঁকা এবং তখন চার্চিল ওই একটি ছবি আঁকেন বলে ধারণা করা হয়। -সিএনএন, ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস

প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ওই ছবিতে মারাকাশ শহরের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন। মার্কিন অভিনেত্রী এ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্বপ্নেও ভাবেননি চিত্রকর্মটির দাম এতটা হবে। তার ধারণার চারগুণ বেশি দাম দিয়ে বেলজিয়ামের এক অচেনা ক্রেতা চিত্রকর্মটি সংগ্রহ করেন। লন্ডনে ক্রিস্টি’র ‘মডার্ন ব্রিটিশ আর্ট ইভিনিং সেল’ নিলামে তোলা হয় চিত্রকর্মটি। চিত্রকর্মটিতে মারাকাশ শহরে সূর্যাস্তের সময় দ্বাদশ শতাব্দিতে নির্মিতি কুতুবিয়া মসজিদের পেছনে আটলাস পর্বতমালার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। প্রায় অর্ধ শতাব্দীর চিত্রকর্মটির কোনো খোঁজ মেলেনি। এরপর হলিউড অভিনেতা ব্রাড পিটের হস্তগত হয়। ব্রাড পিট চিত্রকর্মটি ২০১১ সালে ২.৯৫ মিলিয়ন ডলারে কেনেন এবং তার তখনকার স্ত্রী জোলিকে উপহার দেন। ২০১৬ সালে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। চিত্রকর্মটি নিলামে উঠলে বড়জোর ৩ মিলিয়ন ডলার দাম আশা করেছিল চিত্রকর্ম বোদ্ধারা। কিন্তু এটি যে গত পহেলা মার্চ নিলাম রেকর্ড সৃষ্টি করবে তা তারা কখনো ভাবেননি।

চার্চিল ১৯৩৫ সালে মরক্কো সফরে যান। নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির প্রধান নিক অর্চার্ড বলেন মারাকাশ শহরে সূর্যাস্তের সময় চার্চিল বিমুগ্ধ ও মোহিত হয়ে চিত্রকর্মটি আঁকেন। এর আগে চার্চিলের আরেকটি চিত্রকর্ম ২০১৪ সালে ২.৭ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। তবে কুতুবিয়া মসজিদের ছবিটি চার্চিল ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে আঁকা একটি চিত্রকর্ম। কাসাব্লাঙ্কা শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ঐতিহাসিক ওই সম্মেলনের আগের দিন চার্চিল ছবিটি আঁকেন। হলিউড অভিনেতা ব্রাড পিট চিত্রকর্মটি এ্যান্টিকস ডিলার বিল রাউয়ের কাছ থেকে কেনেন। আর ১৯৬০ সালে।বিল রাউয়ের কাছে চিত্রকর্মটি বিক্রি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের ছেলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack+Ali ২ মার্চ, ২০২১, ৮:৫৬ পিএম says : 0
Such a waste of Money... all the wealth belongs to each and every human being on Earth. If we were to distribute wealth equally then there will no poor people on Earth. If we look at Bangladesh government and their supporter looting our hard earned tax payers money and sending to foreign countries. If this money stays and distribute among the people then there will be not a single people in Bangladesh.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন