বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মো. আবদুল মজিদ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলাধীন নদীবন্দর রামচন্দ্রপুরে নিজস্ব অর্থায়নে ১৯৯৫ সালে অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় এ কলেজের ৭ জন, ১৯৯৮ সালে ৯ জন, ১৯৯৯ সালে ১৯ জন, ২০০০ সালে ২৪ জন, ২০০১ সালে ১৮ জন, ২০০২ সালে ১৫ জনসহ সর্বমোট ৯২ জন শিক্ষার্থী কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান পায়। কলেজটিতে প্রতিষ্ঠাতা পাঁচ একর জমি দান করেছেন। বর্তমানে ¯œাতকসহ মোট ১৬৪১ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এমপিও নন এমপিও ৫০ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত আছেন। গত জুন মাসে দেশের ১৯৯টি কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা হলেও এ কলেজটির নাম ওই তালিকায় নেই। অথচ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় গ্রাম দিয়ে শহর আলোকিত করছে অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ, গরিবদের নটর ডেম ইত্যাদি শিরোনামে আসা এ কলেজটি শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কলেজটি জাতীয়করণ করলে মুরাদনগর, হোমনা, বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর উপজেলার প্রায় দুই লাখসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আবু হানিফ ভূইয়া
প্রভাষক, রসায়ন,
অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ, রামচন্দ্রপুর, মুরাদনগর, কুমিল্লা।
ফুটওভারব্রিজে নির্বিঘেœ চলাচল করতে চাই
ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ফুটওভারব্রিজগুলোর অনেকাংশ নানা ধরনের হকার ও ভিক্ষুকদের দখলে। এতে করে ব্রিজের ওপর দিয়ে নির্বিঘেœ চলাচল করতে পথচারীদের অসুবিধে হয়। এ অবস্থায় ফুটওভারব্রিজের অনাকাক্সিক্ষত দখলদার অবিলম্বে উচ্ছেদ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
খন্দকার আবদুর রাশেদ
বাড়ি ২৫, রাস্তা ১, সেক্টর ৬, উত্তরা
ঢাকা-১২৩০।
স্টার শিপ সংলগ্ন খাল খনন ও খালপাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ দোকানপাট উচ্ছেদ জরুরি
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন স্টার শিপ রোড সংলগ্ন বড়পুল খাল ভরাট হওয়ায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানিবন্দির শিকার হয় জনসাধারণ। এই খালের আশপাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গড়ে উঠেছে শতাধিক দোকান। ভূমিদস্যু ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ছত্রছায়ায় খালের পাশে চায়ের দোকান, ফার্নিচারের দোকান, ইজি লোডের দোকান, মদ-গাঁজার দোকান বসেছে। জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে খালের পাশে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ দোকানগুলো উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আমজাদ হোসেন
রৌফাবাদ, বায়েজিদ বোস্তামী,
চট্টগ্রাম।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির পদ্ধতি
উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির জন্য সরকার সহজ এক পদ্ধতি গ্রহণ করছে। এটি অনেকের কাছে ভালো মনে হলেও গরিব ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভীতিকর। এতে আকাক্সিক্ষত স্কুলে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাদের। মেয়েদের ক্ষেত্রে ভর্তির এ পদ্ধতিটি বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ। ভাগ্যক্রমে ৩০ কিলোমিটার দূরের কোনো কলেজে একজন ছাত্রীর জন্য নির্ধারিত হলে শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বাড়ি থেকে কলেজের দূরত্ব বেশি হলে তা হয় বাবা-মায়ের চিন্তার বড় কারণ। ভর্তির জন্য ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিতে হয়। বাধ্য হয়ে অপছন্দের প্রতিষ্ঠানকেও এ তালিকায় রাখতে হয়। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ পদ্ধতিটি পরিমার্জন অত্যন্ত জরুরি।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
আছানধনী মিয়া পাড়া, চাপানী হাট, ডিমলা, নীলফামারী।
ধূমপান রোধে
সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে ক্যান্সার কিংবা হৃদরোগের ভয়ঙ্কর চিত্র তুলে ধরে মানুষকে ধূমপান থেকে বের করে আনা সম্ভব নয়। ধূমপান নিরসনের জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। জনগণ নিজে সচেতন হলে এবং সিগারেটের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানলে তবেই সম্ভব ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করা। সিগারেটের দাম বাড়িয়ে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। দাম বাড়ানো হলে মধ্যবিত্ত এবং নি¤œবিত্তের অনেকেই সিগারেট খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। এছাড়া পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
মো. আবুল কালাম
নয়াবাজার কে সি স্কুল অ্যান্ড কলেজ,
মৌলভীবাজার।
নগর উন্নয়ন
উন্নত জীবনযাপরনের প্রত্যাশা, পেশাগত কারণ, শিক্ষা অর্জন কিংবা অন্য যে কোনো কারণেই হোক মানুষ প্রথমেই বেছে নেয় দেশের প্রধান নগরগুলোকে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান মানুষের চাপ নগরগুলো বহন করতে পারছে না বলে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। বিপর্যস্ত হচ্ছে নাগরিক জীবন। এক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে নগর উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। দেশের নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষ্য হতে হবে বস্তি উচ্ছেদ। প্রধান প্রধান নগরের ব্যস্ত ও অভিজাত এলাকাগুলোয় গড়ে উঠেছে অসংখ্য বস্তি। এখানে না আছে জীবনযাপনের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না আছে কর্মের কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা। সরকারের দায়িত্ব এই বস্তিগুলোকে উঠিয়ে দিয়ে ভাসমান মানুষগুলোর পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। নগর উন্নয়নের অন্য একটি উপায় হলো রাস্তাঘাটের উন্নয়ন। দেশে প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তাঘাটের পরিমাণ কম। আবার যা আছে তা বছরের প্রায় অধিকাংশ সময় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে থাকে। চরম যানজটের কারণে নাগরিক জীবন চরম ভোগান্তির শিকার হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। নগরের উন্নয়নের জন্য রাস্তাঘাটের সময়মতো সংস্কার এবং দেখভাল করার দায়িত্ব নিতে হবে পৌর কর্তৃপক্ষকে ও জনগণকে।
মো. আবুল কালাম
নয়াবাজার কে সি স্কুল অ্যান্ড কলেজ,
মৌলভীবাজার।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বজ্ররোধক করুন
প্রতি বছর মানুষের প্রাণহানি ঘটছে বজ্রপাতে। শহরের তুলনায় গ্রামেই বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। গ্রামের জনসাধারণ আকাশে ঘন কালো মেঘ ও গুরুগম্ভীর ডাকে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। গ্রামে বর্ষা বাদলের দিনে অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে পাঠাতে ভয় পান। এ কারণে বর্ষার সময় গ্রামে স্কুল-কলেজগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হারও যথেষ্ট কমে যায়। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলোকে বজ্ররোধক করার জন্য পরিচালন সমিতি ও শিক্ষা অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানাই।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন