কাদিয়ানিরা দেশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদশেরে আমীর শাইখুল হাদীস মাওলানা জুনায়দে বাবুনগরী। তিনি বলেন, কাদিয়ানিরা দশেরে স্বাধীনতার জন্য হুমকি স্বরূপ, তারা মুসলমানরে ঈমান হরণরে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সারা বিশ্বের আলেম উলামাদের সম্মিলিত ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাদিয়ানিরা কাফের। যারা মুহাম্মদ (সঃ) কে শেষ নবী মনে করে না, তারা সকল ঈমামগনের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সকল মাজহাবের ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাফের। কিন্তু এরা মুসলিম নাম ধারণ করে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ থেকে পবত্রি মক্কা মদনিাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিয়ে মুসলমি সাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, সরল সহজ মুসলমানদের ঈমান ধংস্ব করছে। তাই এদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষনা করতে হবে। যাতে এরা মুসলমি নাম নিয়ে হজ্ব পালনসহ কোথায় কোন সুযোগ-সুবিধা না পায়। এ সময় বাবু নগরী আরো বলেন, যতদনি এদেশে ইত্তেফাকুল উলামার মতো সংগঠন এবং হেফাজতে ইসলাম থাকবে ততোদিন দেশে ইসলামের কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
শনবিার (৬ র্মাচ) রাতে ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমনেশাহীর উদ্যোগে সীরাতুন্নবী সা.সম্মলেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জানা যায়, এ সীরাত সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের উপস্থিতিতে নগরীজুড়ে এক ভিন্ন আবহের সৃষ্টি হয়। ফলে দিনভর নগরীর টাইনহল মোড় থেকে কাচিঝুঁলি ঈদগাহ মাঠ এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। যা ময়মনসিংহে সীরাত সম্মেলনে সর্বকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলনে, সরকারের কাছ থেকে কাদিয়ানীদের কাফের হওয়ার ফতোয়া চাই না। তাঁদরে তো ফতোয়া দেয়ার অধিকার নাই। কেননা ফতোয়া তো দিবে উলামায়ে কেরাম ও মুফতি সাহেবগন। আর সারা বিশ্বের সমস্ত মুফতি সাহেবগন এ কথার উপর একমত যে কাদয়িানীরা কাফের।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় ইত্তেফাকের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে এ সীরাত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক র্কাযক্রম শুরু হয়। সম্মলেনের শুরু থেকেই ঈদগাহ মাঠ কানায় কানায় র্পূণ হয়ে যায়। এতে প্রায় লক্ষাধিক তৌহিদী জনতার সমাগম হয়েছিল বলে ধারনা করছেন অনেকেই।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখনে শায়খুল হাদিস মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, মাওলানা খালদে সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা জুনায়দে আল হাবিব, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফন্দেী, মাওলানা খালদে সাইফুল্লাহ আইয়্যুবী, মুফতি নূর হুসাইন নূরানী, মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ, মাওলানা জাবের কাসেমী, মাওলানা আনযার শাহ্ তানঈম, মাওলানা তাফহীমুল হক, মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী প্রমুখ। পরে রাত ১১টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মলেনের সমাপ্তি ঘোষণা করনে সভাপতি আল্লামা আব্দুর রাহমান হাফেজ্জী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন