বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এ মাসে ঢাকা সফর করবেন দক্ষিণ এশিয়ার চারজন শীর্ষ নেতা। এদের মধ্যে রয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহামেদ সলিহ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকশে। এসব শীর্ষ নেতার আগমনকে সামনে রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সভাপতিত্বে নিরাপত্তা বিষয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৭ থেকে ২৬ মার্চ এ ১০ দিন আমরা বড় আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। এ সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার চারজন শীর্ষ নেতা ঢাকায় আসবেন। তারা সবাই স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু বা অন্য বিষয়ে একটি করে লেকচার দেবেন। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহামেদ সলিহ ১৭-১৮ মার্চ, নেপালের প্রেসিডেন্ট ২২-২৩ মার্চ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২৬-২৭ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি এখনও চ‚ড়ান্ত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকায় তার সফর ১৯ থেকে ২০ মার্চ হতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, শীর্ষ নেতারা সবাই তেজগাঁও প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি’ বক্তৃতা দেবেন এবং ভার্চুয়ালি এটি সব জায়গায় দেখানো হবে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের সঙ্গে নেপালের প্রেসিডেন্ট বৈঠক হবে। এছাড়া মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ভারত ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশের মতো নেপালের প্রেসিডেন্টের সেরিমোনিয়াল পদ এবং দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হবে। বাকিরা নির্বাহী প্রধান হওয়ায় শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের বৈঠক হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ওয়াংচুক ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভিডিও বক্তব্য আশা করি, ১৭ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে প্রকাশ করা সম্ভব হবে। শুধু তাই না, ওই সময়ে বা বছরের বিভিন্ন সময়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্ট হুন সেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, পোপ ফ্রান্সিস, সউদী আরবের যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানসহ বিভিন্ন নেতারা বক্তব্য দিতে পারেন, বা ঢাকা সফর করতে পারেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবও এরসঙ্গে যোগ হয়েছে এ বছর। পুরো বছরজুড়ে দেশে ও বিদেশে এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশ সফর করতে না পারলেও ভিডিও বার্তা বা বাণী দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন