কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান। এর আগে বিকাল বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে বাদলকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তবে এ নামে কেউ আটক নেই বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
বাদলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার কাকুলি বলেন, দুপুরে মিজানুর রহমান বাদল জেলা শহর মাইজদীতে যায়। বিকেলে একদল সাদা পোশাকধারী পুলিশ নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। বাদলের সাথে থাকা চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, মিজানুর রহমান বাদল এবং তিনি বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় কয়েকজন সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ বাদলকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তবে এসময় তিনি (রাজ্জাক) একটু দূরে ছিলেন।
জেলা গোয়েন্দাপুলিশের পরিদর্শক মুহাম্মদ আবু হুসাইন খান জানান, এ নামের কোন ব্যক্তিকে ডিবি পুলিশ আটক করেনি। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও ওসি তদন্ত রবিউল হককে বার বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তারা ফোন রিসিভ করেননি
প্রসঙ্গত, বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নিজ কার্যালয়ের সামনে নারী দিবসের অনুষ্ঠানে ও পরে বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে মির্জার সমর্থকদের ওপর হামলা অভিযোগ এনে বুধবার রাতে উপজেলা আ.লীগের সভাপতিকে প্রধান আসামী করে ৯৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমান। এ মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে তিন নং আসামী করা হয়েছিল। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাত ১৫০-২০০জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নাম্বার-১৩, তারিখ-১০-০৩-২০২১ইং।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন