শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমীপে

প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইতোমধ্যে ১৪-১৫ সেশনের প্রথমবর্ষ এবং পূর্ববর্তী বর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থীর ত্রুটিযুক্ত রেজাল্ট এসেছে। ভালো পরীক্ষা দিয়েও অনেকের দু-একটা বিষয়ে ফেল এসেছে। ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীরও ফেল এসেছে। এক বিষয়ে আবার কারো কারো রেজাল্টই আসেনি। ফল প্রকাশের বিষয়টি আরো সাবধানতার সঙ্গে দেখা হলেও এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।
আল-আমীন
অনার্স তৃতীয় বর্ষ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা বনাম বাস্তবতা
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা যা শিক্ষা সচিব কর্তৃক ১২-৫-২০১৬ তারিখে স্বাক্ষরিত, সেখানে ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে ভর্তির সময় বিভিন্ন ফি আদায়ের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে- মফস্বল এলাকায় ১০০০-৩০০০ টাকা এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা। উন্নয়ন খাতে ৩০০০ টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। নীতিমালায় দেখা যায়, বিভিন্ন খাতে বোর্ড ফি মাত্র ১৯৭ টাকা। অথচ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ কর্তৃপক্ষ একদাশ শ্রেণির ছাত্র প্রতি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় উন্নয়ন ফিসহ ১২টি খাতে আদায় করেছে ৮৯৭৮ টাকা (অনাবাসিক), ১৫০০০ টাকা (আবাসিক)। এ ছাড়াও মসজিদ বাবদ ৩০০ টাকা এবং বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত পিন নম্বর যাচাইয়ের জন্য ১০০ টাকা অতিরিক্ত নিয়েছে। ১৭-৭-১৬ তারিখে এক নোটিশে ১৩টি খাতে আগস্ট মাসের বেতনসহ (৬৬০ টাকা) ছাত্রপ্রতি আরো ৮৭৭০-১২৪৮০ টাকা পরিশোধের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু খাতের পুনরাবৃত্তিও রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৬০০০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে যা অযৌক্তিক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা বিরুদ্ধ। একজন ছাত্র তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কতবার জামানত আর পকেটমানি খাতে টাকা দেবে? বিভিন্ন খাতে এসব টাকা আদায়ের পরও আইডি কার্ড প্রদানের নামে বা বিভিন্ন উছিলায় রশিদ ছাড়া পৃথকভাবে টাকা আদায় করে থাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিভাবক মিটিং এ একাডেমিক বা অন্য প্রসঙ্গ তুললে কর্তৃপক্ষ তির্যক মন্তব্য করে থাকে। এসব অনিয়মের কি কোনো প্রতিকার নাই?
জনৈক অভিভাবক।

ড্রাইভিং কোর্স প্রয়োজন
জানা যায়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ৬৪ জেলার সকল কারিগরি স্কুল ও কলেজকে গাড়ি চালনার ওপর বেসিক ট্রেড কোর্স চালু করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। সড়ক যাতায়াত ও সেতু মন্ত্রণালয় ৩৬০ ঘণ্টাব্যাপী গাড়ি চালনার কোর্স চালু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে গাড়ি চালনার বেসিক ট্রেড কোর্স চালু করতে নির্দেশ দেয়। তবে এক্ষেত্রে বাস্তবে কার্যকর কী পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে তা জানা যায়নি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনাটি অবশ্যই একটি সুখবর। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ গাড়ি চালকেরা সড়ক নিরাপত্তা ও গাড়ি চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রতিদিন দেশের সড়কগুলোতে যে দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে তা হ্রাস করতে পারবে। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ড্রাইভার বিদেশে চাকরির সুযোগ পাবে এবং দেশের অর্থনীতির জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করবে। একটা ড্রাইভিং কোর্স চালুর জন্য প্রথমে দু-তিনটি করে মিনিবাস, ট্রাক ও পিক আপ ভ্যান প্রয়োজন হবে। প্রশিক্ষিত গাড়ি চালকেরা দেশের দক্ষ লোকবলে পরিণত হবে। বেসিক ড্রাইভিং কোর্সে অন্তর্ভুক্ত থাকা প্রয়োজন। ক) গাড়ি চালনা খ) ট্রাফিক আইনকানুন গ) মোটরগাড়ির যন্ত্রপাতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ঘ) দুর্ঘটনার ফলে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে দুর্ভোগ এবং ঙ) ইংরেজিতে কথা বলা। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আশরাফ হোসেন
কোম্পানি সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ লি., ৮/এ, রমনা, ঢাকা-১০০০।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন