শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বইমেলা অনিশ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এরই মধ্যে অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হতে যাচ্ছে ১৮ মার্চ। তবে দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বই মেলা স্থগিত করাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। গতকাল বাংলা একাডেমিতে বইমেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এবার ফেব্রুয়ারিতে মেলা করা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্চে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে আবারো দেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে, মেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো যদি পরিবেশ-পরিস্থিতি না থাকে তবে অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আগে জীবন। যদি কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, মেলা চালানোর মতো আর সুযোগ না থাকে, সেক্ষেত্রে আমাদের নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। মহামারিকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না। সেক্ষেত্রে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। তখন অপ্রিয় হলেও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি যেন সে পর্যায়ে না যায় সেটাই সবার চাওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বইমেলা ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৮ মার্চ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি মেলার উদ্বোধন করবেন। ওইদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটির অনুবাদ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করার কথা রয়েছে তার। এবারের মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এবারো শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই থাকবে তবে করোনার জন্য ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে না। এছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টায় মেলার মূল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মাসব্যাপী প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গতকাল দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, বইমেলার এবারের আসরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া মেলার চারপাশ এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থাকবে। মোবাইল পেট্রোলের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর থাকবে বলেও জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের বাইরে অন্য কোনো হুমকি এবার দেখছেন কি না- সেই প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টা আমাদের মাথায় রয়েছে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই প্রকাশ হচ্ছে কিনা আমরা খোঁজ রাখছি। কেউ অপরাধমূলক কাজ করছে কিনা সে ব্যাপারেও আমরা নজরদারি করছি। যথা সময়ে তথ্য পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন