অমর একুশে বইমেলা আগামী ১৮ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সব মিলিয়ে টানা ২৮ দিন চলবে এ মেলা। গতকাল মেলা পরিচালনা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী জানিয়েছিলেন, আগামী ১৮ মার্চ থেকে অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে ২০২১ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলা সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভার্চ্যুয়ালি বইমেলার আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রকাশক ও লেখক-সাহিত্যিকরা। বাংলা একাডেমির এ সিদ্ধান্তকে ‘এক তরফা’ ও ‘স্বেচ্ছাচারী’ বলে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন প্রকাশকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ ডিসেম্বর সকালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রকাশকদের দুই সমিতি-বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নেতারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ভার্চ্যুয়ালি নয়, শারীরিক উপস্থিতিতেই আয়োজিত হবে ২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। তবে প্রথা অনুযায়ী, ১ ফেব্রæয়ারি থেকে এবারের বইমেলা শুরু হচ্ছে না। এজন্য প্রকাশকদের কাছ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ডিসেম্বর শারীরিক উপস্থিতিতে ১৮ ফেব্রæয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের জন্য বাংলা একাডেমিকে লিখিত প্রস্তাব দেয় প্রকাশকদের দুই সমিতি।
এরপর গত ১৭ জানুয়ারি বইমেলার তারিখ নির্ধারণের জন্য সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রকাশকদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কে এম খালিদ বলেন, ২০ ফেব্রæয়ারি, ১৭ মার্চ ও ২৭ মার্চ প্রস্তাবিত তিন তারিখ প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে। তিনি যে তারিখ নির্ধারণ করবেন, সে তারিখেই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন