নগরীতে সড়কে মোটর সাইকেলের মহড়া নিয়ে বিরোধের জেরে খুনের ঘটনায় ‘ছুরিকাঘাতকারী’ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর ডবলমুরিং থানার সিএন্ডবি কলোনি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া গেছে বলে জানান নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারিশ খান। পুলিশ জানিয়েছে, নিজের ভাইকে মারতে দেখে চা দোকান থেকে ছোরা নিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে ওই যুবক। সেই ছোরা একজনের বুকে লেগে বেশ খানিকটা অংশ ভেতরে ঢুকে যায়। আহত হয়ে পরে তিনি মারা যান। গ্রেফতার মো. সোহাগ (২৮) নগরীর আগ্রাবাদ বেপারিপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তার বড় ভাই মো. মহসিনের সঙ্গে ঝগড়ার জেরেই বুধবার দুপুরে আগ্রাবাদে জাম্বুরি পার্কের পাশে সড়ক ভবনের অফিসের সামনে সংঘর্ষ হয়। এতে হাশেম খান (৩৫) নামে একজন নিহত হন। তিনি আগ্রাবাদের রঙ্গীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। পেশায় সাউন্ডবক্সের মেকানিক ছিলেন।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আগ্রাবাদের রঙ্গীপাড়া থেকে জাম্বুরি মাঠের দিকে পিকআপ ভ্যানে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের মহড়া দিয়ে একদল কিশোর-তরুণ-যুবক আসছিল। তাদের মহড়ার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় রিকশায় করে ওই এলাকা অতিক্রম করা স্থানীয় যুবক মহসিন পথে আটকে থাকেন। তিনি এর প্রতিবাদ করলে প্রথমে ঝগড়া ও পরে স্থানীয়দের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে একজন নিহত ও কয়েক জন আহত হন।
নগরীর আগ্রাবাদ মালিপাড়ায় নিহত হাশেমের টেলিভিশন মেরামতের একটি দোকান ছিল। হাশেম টেলিভিশন মেরামতের পাশাপাশি সাউন্ডবক্সের মেকানিক হিসেবে কাজ করত বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন