বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস খুব পরিচিত এবং সাধারণ একটি রোগ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ওষুধ খাওয়ার চেয়ে ডায়েটে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কী খাবেন আর কী খাবেন না এ নিয়ে অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করে ডায়াবেটিস রোগীদের। ওই সময় মিষ্টি এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হয়, ফলে খাওয়া নিয়েও তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অথচ কিছু ফল আছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। নির্ভাবনায় ওই ফলগুলো ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন।
আপেল ঃ প্রচলিত আছে, প্রতিদিন একটি আপেল খান আর ডাক্তার দূরে রাখুন। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। আপেলের ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া টাইপ-২ ডায়াবেটিস কমিয়ে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। কমলা এবং লেবুজাতীয় ফল ঃ কমলা ফাইবারের অন্যতম উৎস। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লেবুজাতীয় ফল ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। কিন্তু ওই জাতীয় ফলের রস আবার ডায়াবেটিস বৃদ্ধি করে থাকে। কমলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) ৪০ কিন্তু চিনি ছাড়া কমলার রসের ইনডেক্স (জিআই) ৫০। তাই এসব ফলের রস পান করার চেয়ে ফল খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর।
কালো জাম ঃ কালো জাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। কালো জাম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও কালো জামের বীজ গুঁড়ো করে খেলেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
চেরি ঃ চেরি রক্তে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ইনসুলিন তৈরি করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লো কার্বোহাইড্রেডের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি আদর্শ ফল। প্রতিদিন চেরি ফল খাদ্যতালিকায় রাখুন।
পেয়ারা ঃ ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হলো পেয়ারা। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ আছে, যা সুগার রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। বিনা সংকোচ খেতে পারেন ফলটি।
কিউই ঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি বেশ স্বাস্থ্যকর একটি ফল। ফলটি রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। কামরাঙা ঃ ওই টক ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কামরাঙায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও আমড়া, আমলকি, কুল ইত্যাদি দরকারি ফল। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই ফলগুলো বাজারে সহজলভ্য।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন