শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কাদের মির্জার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীকে হাড়ুড়ি পেটা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ, আহত ৪

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২১, ১১:৪৯ এএম

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে মালিককে হাতুড়িপেটা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে ।

শনিবার রাত ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারের আজমেরী হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই হোটেলের মালিকসহ অন্তত ৪জন আহত হয়েছে।

এদের মধ্যে হোটেলের মালিককে আহতাবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলো, মো.জসিম উদ্দিন,আবু সায়ীদ,আল আমিন, কামাল।

আজমেরী হোটেলের মালিকের ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন সজীব সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাদের পরিবার বসুরহাট বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবার। তাদের পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।

সজিব জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে কাদের মির্জার বিরোধী ও তার আপন ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাতের নেতৃত্বে আজমেরী হোটেলের দ্বিতীয় তলায় বসে নাশতা খাচ্ছিল। কাদের মির্জা তার বিরোধীদের আজমেরী হোটেলে নাশতা খাওয়া ও আড্ডা দেওয়ার খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হন। এরপর হোটেলের বর্ধিত অংশ ভাঙ্গার অজুহাত তুলে কাদের মির্জা দলবল নিয়ে হোটেলে এসে মালিকের সাথে প্রথমে দুর্ব্যহার করে। এক পর্যায়ে মির্জা নিজে প্রথমে হোটেল মালিককে মারধর করে এরপর তার সাথে থাকা সাঙ্গপাঙ্গরা হোটেলে মালিককে মুখে, মাথায়, বুকে হাতুড়ি পেটা করে। এ সময় হোটেলের ক্যাশিয়ারসহ কর্মচারীরা তাদেরকে মালিককে রক্ষা করতে এলে বেধড়ক পিটিয়ে তাদেরকেও আহত করে। হামলাকারীরা প্রথমে হোটেলের সিসি ক্যামেরা, তারপর চেয়ার, টেবিল, ক্যাশ, ফ্রিজ, শোকেস ভাংচুর এবং ক্যাশে থাকা নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। একই সময়ে মেয়র হোটেলের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করে, রোববার সকালের মধ্যে ব্যাংকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়।

হোটেলে হামলা ভাংচুর ও মালিককে হাতুড়িপেটার অভিযোগ অস্বীকার করে কাদের মির্জা বলেন, এটা পৌরসভার রুটিন ওয়ার্ক। ১০ দিন আগে হোটেলের বর্ধিতাংশ ভাঙতে বলা হয়েছিল। কিন্তু হোটেল মালিক নির্দেশ না মানায় পৌরসভার পক্ষ থেকে তা ভাঙা হয়েছে।

মির্জার ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের নেতাকর্মিরা রোববারের হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতাল কর্মসূচি মোকাবেলায় জরুরি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মি আজমেরী হোটলে নাস্তা করতে আসে। এ খবর পেয়ে কাদের মির্জা প্রথমে হোটেলের নিচে অবস্থান নেয়।পরে তার অনুসারীদের নিয়ে হোটেলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, বসুরহাট বাজরের আজমেরী হামলা ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন