ময়মনসিংহে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে পুলিশের রাবার বুলেটে ৩জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বলে নিশ্চিত করেছেন হেফাজত নেতা মাওলানা শরীফুর রহমান।
আহতরা হলেন- ইয়াসীন মুন্সী(৫০), আরফান আলী(৫৫), আহাদ মিয়া(২৩), শাকিল আহম্মেদ(১৯), আলম মিয়া(২১) ও উজ্জল মিয়া(৩০)। এছাড়াও নগরীর মাসকান্দা এলাকায় ক্ষমতাসীনদের হামলায়¡ মাদ্রাসা ছাত্রদের মারধর করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫/৭জন আহত হয়েছে।
জানা যায়, হরতাল সমর্থনে সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চূড়খাই এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের রাবার বুলেটে গুলিবিদ্ধ হয় আনেকেই। তাদের মধ্যে চূরখাইয়ের ইয়াসিন মটরসের মালিক ইয়াসীন মুন্সি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বাড়েরা গ্রামের জালাল উদ্দিন মিয়ার ছেলে। তবে আহত অন্যদের ঠিকানা এখনো সঠিক ভাবে জানা যায়নি।
জানা যায়, এর আগে সকালে হরতাল সমর্থনে নগরীতে হেফাজতে ইসলামের নেতা শিশুবক্তা খ্যাত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাহাবুল্লাহ, মাওলানা শরীফুর ইসলামসহ প্রায় অর্ধশত বরেণ্যের আলেম। এতে হাজার হাজার হেফাজতের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহন করে।
সূত্রমতে, হরতাল সমর্থনে সকাল থেকে নগরীর চরপাড়া, মাসকান্দা, চূড়খাই, পাটগুদাম ব্রীজ, তালতলা, কলপা, রহমতপুর বাইপাস, খাগডহর এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা নিয়ে সড়ক-মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ করে অবস্থান নেয়। দুপুরে নগরীর চরপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী বিক্ষোভ করতে চাইলে হেফাজত তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় চরপাড়াস্থ পুলিশ বক্স ভাংচুর করে হরতাল সমর্থনকারীরা।
ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলাউদ্দিন জানান, সকালের দিকে অবস্থা খারাপ ছিল। বিকেলের দিকে পরিস্থিতি ভালো। বিক্ষোভকারীরা কেউ গুলিবিদ্ধি হয়েছে কি না বিষয়টি তার জানা নেই। তবে ওই সময় বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেলে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ চারজনকে হাসপাতালে আনা হলে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজন বাবুখালী নামাপাড়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে আলম মিয়া (২৩)। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন