ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় মুক্তিপনের ৫০ লাখ টাকা না পেয়ে বাড়ির মালিকের শিশুকে সন্তানকে হত্যা করেছে ভাড়াটিয়া দম্পতি। এঘটনায় মূল অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও তার স্ত্রী লিজা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে হাত পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের চৌরাস্তা এলাকায় কালাম মাদবরের বাড়ি থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সন্ধ্যায় ওই শিশুকে অপহরণের কথা বলে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন ভাড়াটিয়া আরিফুল ইসলাম।
নয় বছর বয়সী শিশু রাজা মিয়া আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের চৌরাস্তা এলাকার কালাম মাদবরের ছেলে। নিহত রাজা হলিক্রিসেন্ট স্কুলের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন পাবনা জেলার সুজানগর থানার ভাতশালা গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৫) ও তার স্ত্রী লিজা (২২)। তারা গত ১ মাস আগে এই বাসায় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে পার্শ্ববর্তী পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
এদের মধ্যে পুলিশ লিজাকে আটক করলেও তার স্বামী আরিফুল ইসলাম পালিয়েছে।
পুলিশ ও নিহত শিশুর পরিবার জানায়, রোববার সন্ধ্যায় চা খাওয়ার কথা বলে আরিফুল নামে ভাড়াটিয়া তার বাসায় শিশু রাজাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ওই শিশুকে হত্যার পর হাত পা বেঁধে বস্তাবন্দী করে বেলকনিতে রেখে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে শিশু রাজার বাবাকে ফোন করে আরিফুল বলেন ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উত্তরায় যেতে।
পরে ঘরে থাকা আরিফের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে মিথ্যা তথ্য দেয়। তবে রাজার স্বজনরা বাড়ি তল্লাশী করে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ বেলকনিতে খুজে পায়। নিহত শিশুর মুখে কাপড় ঢুকানো ছিল ও জুতার ফিতা দিয়ে পা ও গলা বাঁধা অবস্থায় ছিল।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে আটক করেছি। অভিযুক্ত আরিফুলকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য আমদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এঘটনায় আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন