শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘সমান’ মনোভাব চায় যুক্তরাষ্ট্র

গোলান মালভূমি ইসরাইলের দখলকৃত এলাকা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘সমান’ মনোভাব পোষণ নিশ্চিত করতে ইসরাইলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন সতর্কভাবে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রেক্ষাপটে গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন আহবান জানালেন। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গবি আশকানেজির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে অ্যান্টনি ব্লিনকেন ‘ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের দিক থেকে সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে, মার্কিন প্রশাসনের এমন বিশ্বাসের ওপর বেশি জোর দেন’। অ্যান্টনি ব্লিনকেন যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল অংশীদারত্বের সবদিক আরো শক্তিশালী করারও প্রতিশ্রুতি দেন এবং আরো চার আরব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গত বছর করা ইহুদি এ রাষ্ট্রের চুক্তির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইসরাইলের কট্টর ডানপন্থী নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তার পূর্বসুরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জানানো অবিচল সমর্থন থেকে তিনি দূরে থাকবেন। নতুন মার্কিন প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের মানবিক সাহায্য দেয়া জোরদার করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নেড প্রাইস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি একতরফাভাবে বসতি স্থাপন কার্যক্রম চালানো থেকে ইসরাইলের বিরত থাকা উচিত হবে। কেননা, এ ধরনের কর্মকান্ডের কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং তা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আলোচনাকে এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করে।’ এর আগে গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জানায় যে, তারা পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের দখলিত অঞ্চল হিসাবে বিবেচনা করে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড দাম এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি ঐতিহাসিক সত্য যে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পরে ইসরাইল পশ্চিম তীর, গাজা এবং গোলান মালভ‚মি দখল করে নিয়েছে’। ২০২০ সালের জন্য মানবাধিকার অনুশীলনের ওপর তার বার্ষিক দেশীয় প্রতিবেদন প্রকাশের পরে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এ অভিমত আসে। রিপোর্টে পূর্ববর্তী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী এবং গোলান মালভূমিকে কেন্দ্র করে ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এতে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিবেদনে বর্ণিত পরিবর্তনকেও যথাযথভাবে রেখেছে, যেখানে তিনি ‘ইসরাইল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল’ বাক্যটি ‘ইসরাইল, পশ্চিম তীর এবং গাজা’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছিলেন। আমেরিকা পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের দখলকৃত অঞ্চল হিসাবে বিবেচনা করে কিনা জানতে চাইলে, প্রাইস নিশ্চিত করেছেন যে, হ্যাঁ তা করে। ‘বাস্তবে, ২০২০ সালের মানবাধিকার রিপোর্টে পশ্চিম তীরের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে ‘দখল’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে’, প্রাইস আরো বলেন, ‘এটি অবশ্যই উভয় পক্ষের পূর্ববর্তী প্রশাসনের দীর্ঘকালীন বহু দশকের অবস্থান ছিল’। এর আগে বুধবার এক প্রতিবেদক গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি অফ লিসা পিটারসনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট পশ্চিম তীরকে ‘ইসরাইলের দখলিত’ অঞ্চল বিবেচনা করে কিনা। পিটারসন বলেছিলেন যে, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলসমূহকে পূর্ববর্তী বছরগুলোয় একই বিবেচনা করা হত। এএফপি, মিডল ইস্ট মনিটর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন