মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় লকডাউন মানতে রাজি নন ব্যবসায়ী ও নিম্ন আয়ের লোকজন। লকডাউনকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই দোকানের দু’এক সাটার খুলে দোকানে অবস্থান করছেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলার শমশেরনগর, ভানুগাছ বাজার, মুন্সীবাজারসহ কয়েকটি বাজারে এচিত্র দেখা গেছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের ১৮ দফা মানতে সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলার শমশেরনগর, ভানুগাছ বাজার ও মুন্সীবাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা সকাল থেকেই শপিং মল, হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ স্ব স্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এক এক সাটার খুলে বসে আছেন। ক্রেতারাও মালামাল এবং খাদ্যপণ্য কিনতে দোকানে দোকানে আসা যাওয়া করছেন। অনেকের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারেরও কোন আগ্রহ দেখা যায়নি। শমশেরনগর বাজারের হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাবারের জন্য মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যেখানে দু’জন বসার কথা, সেখানে তিনজন বসে খাবার খাচ্ছেন। বাস ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে হাটবাজারে অন্যদিনের তুলনায় মানুষের উপস্থিতি খুবই কম রয়েছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী ও নিষেধাজ্ঞা আরোপে সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গত ২৯ মার্চ তারিখে ১৮ দফা নির্দেশনার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সমূহ বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন সচেতনতা মূলক ক্যাম্পিং করেছে। সকালে ভানুগাছ বাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ও দুপুরে শমশেরনগর বাজারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রদান করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জানান, আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদে লকডাউন প্রতিপালনের জন্য আমরা মাঠে আছি এবং ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন