মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে ভারতে রপ্তানিকালে আটক করা হয় ৪ মেট্রিক টন ইলিশ। জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২১ উপলক্ষে ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সরকারি প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছে। তাছাড়া সারা দেশ জুড়ে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে মাইকিং করে এ বিষয়ে অধিকতর সর্তক করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি নির্দেশনার প্রথম দিনেই সোমবার ৪ অক্টোবর সকালে ৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় রপ্তানির জন্য খুলনার আরিফ সি ফুড একটি ট্রাকে করে ইলিশ নিয়ে আসে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে। এ অবস্থায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনার আলোকে ট্রাক বোঝাই ৪ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করেন।
খুলনার আরিফ সি ফুডের মালিক আরিফ হোসেন ভারতের কৈলাশহরে রপ্তানির জন্য পৃথক দুটি গাড়ীতে করে ৪ মেট্রিক টন ইলিশ নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে ৩ অক্টোবর স্থানীয় সিএনএফ এজেন্ট রপ্তানির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সরকারি অনুমোদন গ্রহণ করেছিলেন। তবে সরকারি নির্দেশনা শুরুর প্রায় ১০ ঘন্টা পর সোমবার সকালে ইলিশ মাছ নিয়ে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে নিয়ে আসেন আরিফ সি ফুডের মালিক আরিফ হোসেন। এ কারণে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ ট্রাক বোঝাই ইলিশ জব্দ করেন। তাছাড়া ভারতে ১০ ডলারে প্রতি কেজি ইলিশ পাঠানোর কথা থাকলেও ওই ব্যবসায়ী ৬ দশমিক ১ ডলারে ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে চান।
স্থানীয় আমদানী ও রপ্তানীকারক কারক মুর্শেদুর রহমান সেজু বলেন, চাতলাপুর কাস্টমস এর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ ডলারের পরিবর্তে ৬ দশমিক ১ ডলারে ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে চান।
উল্লেখ্য ১ অক্টোবর থেকে কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর এই প্রথম চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ইলিশ মাছ রপ্তানি শুরু হয়। ১ ও ২ অক্টোবর ওই দুই দিনে ভারতের কৈলাশহরে ৪ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়।
কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন ভারতে রপ্তানি যোগ্য ৪ মেট্রিক টন ইলিশ চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে জব্দ করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৩ অক্টোবর দিনের মধ্যে যদি এ মাছ চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে এসে পৌঁছাত তা হলে বিধি মোতাবেক মাছ ভারতে রপ্তানির সুযোগ ছিল।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল সিংহ জানান, সরকারি নির্দেশনায় ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ওই ব্যবসায়ীর ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ পাঠানোর নির্দেশনা ছিল। তাই মেয়াদ না থাকায় ৪ অক্টোবর ভারতে ইলিশ পাঠানো সম্ভব হয়নি। এদিকে ইলিশ বোঝাই ট্রাক ও পিকআপ গাড়ী শরীফপুর বিজিবি সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন