সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরুর প্রথম দিনে সীমিত আকারে হলেও মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এসময় ব্যবসায়ীরা ইউএনও কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা ইউএনও এবং পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে নিজেদের দাবী জানান।
এদিকে সোমবার থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া মার্কেট-শপিংমল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এরই প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকালে হাটহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং ইউএনও কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এই সময় তারা 'লকডাউন মানি না' বলে শ্লোগান দেন।
পরে হাটহাজারী পৌরসভা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ শাহআলম, সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম, কাচারী সড়ক বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বাবু, ব্যবসায়ী নেতা ওজায়ের আহমেদ হামিদি, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ শুক্কুর সহ নেতৃবৃন্দরা হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাত হোসেন এবং হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এসময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা মানবিক দিক বিবেচনায় সীমিত আকারে দোকানপাট খোলা রাখার দাবী জানান।
হাটহাজারী পৌরসভা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ শাহআলম ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেন, লকডাউনের ব্যাপারে সরকারের যে সিদ্ধান্ত সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে। ব্যবসায়ীদের দাবীর ব্যাপারে ইউএনও এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। এছাড়া মোবাইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের সাথেও আলাপ করা হয়েছে। উনাদের সাথে এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আলাপ চলছে জানিয়ে, সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী নেতা ওজায়ের আহমেদ হামিদী জানান,, 'ব্যবসায়ীরা সারা বছর দোকান খুলে বসে থাকলেও ব্যবসা হয় ঈদের আগের দুই মাসে। গত বছর রোজার মাসে লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এবারও যদি এই সময় মার্কেট বন্ধ থাকে, তাহলে তো ব্যবসায়ীদের পথে বসে যেতে হবে।'' তিনি দাবি করেন, যেভাবে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে, সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হোক।
বাংলাদেশে গত বছরের ২৬শে মার্চ থেকে দুই মাস সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন সব মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ ছিল। যার কারণে ব্যবসায়ীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন