শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে লকডাউনেও উধাও স্বাস্থ্যবিধি

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৪ এএম

চট্টগ্রামে সংক্রমণ এবং মৃত্যু দুটোই বাড়ছে। এর পরও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। সরকারি নির্দেশনা মানার প্রবণতা নেই। লকডাউনেও বিধি-নিষেধের বালাই নেই। হাটবাজার, অলিগলি, গণপরিবহন কোথাও নেই শারীরিক বা সামাজিক দূরত্ব। গাদাগাদি করে মানুষ হাটবাজার, শপিং মলে ভিড় করছে। মুখে মাস্ক নেই, হাত ধোয়ার গরজ নেই। রাস্তায় প্রকাশ্যে বিড়ি সিগারেট ফুকছেন অনেকে। লকডাউন ঘোষণার দুই দিন পর চালু হয় গণপরিবহন। চারদিন পর শুক্রবার থেকে খোলা হয়েছে মার্কেট, শপিং মল। এরপর থেকে মূলত উধাও স্বাস্থ্যবিধি। গতকাল শনিবার মার্কেট বিপণী কেন্দ্রে মানুষের ভিড় জটলা বাড়ে। কিশোর যুবকদের দল বেধে মার্কেটে মার্কেটে ঘুরতে দেখা যায়। হকার্স মার্কেট থেকে ফুটপাত সব এলাকায় ছিলো ভিড়। সামনে ‘কঠোর লকডাউন’ আসছে-এই সুযোগে কেনাকাটা সারছেন অনেকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা নিজেরাও তা মেনে চলছেন। তবে ক্রেতাদের অনেকে এ ব্যাপারে উদাসীন। গণপরিবহনের পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা না মেনে দূরপাল্লার রুটেও যানবাহন চলছে। গ্রামের গণপরিবহন শহরে আসছে। শহরের লোকজনও দলে দলে গ্রামে যাচ্ছেন। চলছে সব সামাজিক অনুষ্ঠান। রোজার বাজার করার নামে হাটবাজারে মানুষের হুড়োহুড়ি চলছেই। হোটেল, চায়ের দোকানে আড্ডাবাজি বাড়ছে। লকডাউনের শুরু থেকেই কিছু কিছু এলাকায় নিয়মিত অভিযান চলছে। এসব অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানাও করা হচ্ছে। তবে এরপরও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা বাড়ছে না। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমণের উর্ধ্বগতি রোধ করত হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে। এটা করতে না পারলে লকডাউনের উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। সেই সাথে সংক্রমণ দ্রুত বাড়বে। তারা স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষকে বাধ্য করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
নগরীতে অস্ত্র ও গুলিসহ পুলিশের তালিকাভূক্ত এক সস্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায় গ্রেফতার মো. দিদারুল আলম মাসুম ওরফে আবু তাহের মাসুম ওরফে মাসুম (৩৫) ২৭টি মামলার আসামি। শুক্রবার রাতে নগরীর কাতোয়ালী থানাধীন ৩৭নং মহিম দাশ রোড অভিযান চালিয়ে তাকে পাকড়াও করা হয়। তার দেহ তল্লাশী করে পরিহিত টাউজারের পেছনে কোমরে গুজানো একটি দেশীয় তৈরী এলজি এবং দুই রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গেছে। সে নিয়মিত নগরীর রেল স্টেশন, নিউ মার্কেট মোড়, আমতল, শাহ আমানত মার্কেট, আন্দরকিল্লা, জামালখান, ব্রীকফিল্ড, ফিশারীঘাট এলাকায় পথচারী ও রিকশা আরোহিদেন মোবাইল, অর্থ, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন রকমের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিলো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন