নগরীর এনায়েতবাজার গোয়াল পাড়ায় হেলে পড়া একটি পাঁচতলা ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছেন ভবন মালিক। এই ভবনের অনুমোদন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শনিবার রাতে ভবনটি হেলে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে ছুটে যান। ভবনের বাসিন্দাদের রাতেই নামিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে হেলে ওই ভবনের পাশের একটি ভবন এবং কয়েকটি দোকান থেকেও লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা জানান, মালিক পক্ষ ভবনের উত্তর-পশ্চিম কোণের একটি পিলারের সংস্কার কাজ করার সময় ভবন হেলে পড়ে। ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হওয়ায় ভবনটির চারপাশ ঘিরে রাখা হয়েছে। পুলিশের সাথে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে অবস্থান নেন। ভনটিতে ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভবনটির মালিক কার্ত্তিক ঘোষ নামের এক ব্যক্তি। তার মৃত্যুর পর ছয় সন্তান ও তাদের পরিবার ভবনটিতে থাকছিলেন। কার্ত্তিক ঘোষের মেজো ছেলে রূপা ঘোষ জানান, ১৯৯৫ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। পুরো ভবনে তাদের পরিবারের সদস্যরা বসবাস করেন। রাস্তার পাশে একটি পিলারে ফাটল ধরায় সেটি সংস্কারে কাজ শুরু হতেই ভবন হেলে পড়ে। তিনি বলেন, এ অবস্থায় আমরা ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লোকজন এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও জোগাড় করা হচ্ছে। খুব শিগগির কাজ শুরু হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ভবনটি অনুমোদনহীন বলে দাবি করেছে। সিডিএর প্রধান পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান বলেন, এ এলাকার খুব কাছেই সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি)। সেটি একটি হেরিটেজ ভবন। তাই সংশ্লিষ্ট কিছু জায়গা আছে যেখানে কোনো ভবন নির্মাণে অনুমোদন দেওয়া হয় না। কিন্তু ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। সে হিসেবে এটাও অনুমোদনহীন।
তবে ভবন মালিকদের দাবি অনুমোদনসহ সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। রূপা ঘোষ সিডিএর অনুমোদনের কাগজও দেখান উপস্থিত সাংবাদিকদের। এ বিষয়ে শাহীনুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন