বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আইটি এন্ড টেলিকম

রবির মুনাফা ৩৪ কোটি টাকা

বছরের প্রথম প্রান্তিক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৩৪ কোটি টাকা মুনাফা করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা। এই সময়ে অপারেটরটির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১৯ লাখ। ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ, যা মোট গ্রাহকের ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ। মোট আয়ের পরিমাণ ১ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা যা গত প্রান্তিকের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। ৪১ শতাংশ মার্জিনসহ ইবিআইটিডিএ ৮১১ দশমিক ৭ কোটি টাকা, যা গত প্রান্তিকের তুলনায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। মূলধনী বিনিয়োগ ১৫০ দশমিক ৬ কোটি টাকা। কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ৩৪ দশমিক ৩ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা, যা চলতি প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৫৬ দশমিক ৩ শতাংশ। গতকাল রোববার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকের ফলাফল ঘোষণার সময় এসব তথ্য জানিয়েছে অপারেটরটি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ভয়েস সেবা থেকে রবির রাজস্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে যা ভয়েস কল করার ক্ষেত্রে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর আগ্রাসী ভূমিকারই প্রতিফলন। অন্যদিকে ডাটা সেবায় রাজস্ব গত প্রান্তিকের তুলনায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। গত প্রান্তিকের তুলনায় রবির ইবিটডিএ মার্জিন ১ দশমিক ২ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট (পিপি) এবং ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ পিপি বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা যা ওই প্রান্তিকের মোট রাজস্বের ৫৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মূলধনী বিনিয়োগ করেছে ১৫০ দশমিক ৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত রবি’র নেটওয়ার্কের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫০২টি’তে, যার শতভাগই ফোরজি সাইট।

রবির পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ওপর ৩ শতাংশ হারে অন্তর্র্বতীকালীন নগদ লভ্যাংশের প্রস্তাব দিয়েছে (প্রতিটি ১০ টাকার শেয়ারে ৩০ পয়সা)। গত ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রবি’র ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মূল আয়ের উপর ২ শতাংশ ন্যূনতম করের প্রভাবে মুনাফা প্রত্যাশিত হারে বাড়েনি। শুধু তাই নয়, এই করের প্রভাবে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর জন্য কর্পোরেট করে (৪০ শতাংশ) যে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছে সে সুবিধা থেকেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।
এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে আমাদের সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা পুঁজিবাজারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার পরও তাদের কাক্সিক্ষত প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা আবারও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো যাতে আমাদের ব্যবসাকে এই অন্যায্য কর থেকে মুক্ত করা হয়।

তিনি বলেন, দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে সকল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে ৪.৫জি প্রযুক্তি স্থাপন করতে পেরে আমরা গর্বিত। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিলামে আরো তরঙ্গ নেয়ার মাধ্যমে মোট নেটওয়ার্ক সাইট এবং গ্রাহক প্রতি তরঙ্গের হারের ভিত্তিতে এখন আরো স্থিতিশীল ও উচ্চগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে প্রস্তুত রবি। আমাদের মোট গ্রাহকের ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হওয়ায় আমরা বিশ্বাস করি পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে আমরা সঠিক পথেই এগুচ্ছি।

বাজার ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে মাহতাব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডিডব্লিওডিএম (ডেনস ওয়েভলেঙ্গথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং) সরঞ্জামগুলোর ব্যাপারে অনুমোদন না পাওয়ার কারণে আমরা এখনও হাজার হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারছি না; যা আমাদের সেবার মান আরো উন্নত করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসএমপি বিধিমালার কার্যকর প্রয়োগের অভাবে টেলিযোগাযোগ বাজারে এশটি অসম প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। এর ফলে বাজারে অদূর ভবিষ্যতে গ্রাহক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন