কুষ্টিয়ার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে গড়াই নদী খনন প্রকল্পের বালি ও পলি মাটি অপসারণ করার সময় ৪৬টি বাড়ি বালি চাপা পড়েছে। এতে শতাধিক পরিবার এলাকা ছাড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমারখালী চাপড়া ইউনিয়নের বহলা গোবিন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী কুদ্দুস ডা. মোবারক জানান ১ সপ্তাহ ধরে ড্রেজার দিয়ে বালি ভরাট শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা বালি ভরাটের শুরুতে জানায় তাদের অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে জিকের খাল খননের সময় খালের পাড় তৈরি করতে মাটি কাটার কারণে নদীর তীরবর্তী যেসমস্ত জলাশয় রয়েছে সেগুলো ভরাট করবে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় বালি দিয়ে প্রায় ৪৬ টি ঘরের চাল পর্যন্ত ভরাট করে বসবাসের অনুপযোগী করে দেয়। রাতের আঁধারে কাজ করার সময় এভাবে বালি দেয়ায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে বাড়িঘর ফেলে রেখে চলে গেছে। নিষেধ করলেও তারা কোন বাধা মানে নাই।
এ বিষয়ে চাপড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন রিন্টু জানান, গড়াই নদী খননের সময় পাড় বাধার জন্য নদীর তীরবর্তী এলাকায় জলাশয় সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাশয় থেকে পানি ছোপ করার কারণে নদীর পাড় ভেঙে যায়। যেকারণে ড্রেজার দিয়ে জলাশয় ভরাট করার কথা। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে তারা বিভিন্ন মানুষের ঘরের চাল পর্যন্ত ভরাট করেছে। ফলে বহু মানুষ বাসস্থান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি ছাড়াও জনগণের ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপরও তারা বালু ফেলেছে।
বিষয়টি স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং শাখা) আজমীর হোসেন জানান, নদীর তীরবর্তী অধিগ্রহণকৃত জমির উপর জলাশয় ভরাট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা ঘরের চাল সমান বালি ভরাট করেছে এটা অন্যায় হয়েছে। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে বালি অপসারণ ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যে কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিল অফিস খোলার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন