নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ। অফিসটিতে কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী না থাকায় গোটা অফিসটি মাদক ও জুয়ার আড্ডায় পরিণত হয়েছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম। এছাড়া দেখভালের অভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর ও সৈয়দপুর বিভাগের অধীনে কিশোরগঞ্জ উপ-বিভাগীয় কার্যালয়টিতে সৈয়দপুর-২ ও রংপুর-১ মিলে ২ জন এসডিও, ৬ জন এসও, ৪ জন অফিস সহকারী, ১৬ জন কার্যসহকারী, ১০ জন এমএলএসএস, ২ জন নাইটগার্ড, ২ জন দারোয়ান ও ৪ জন সার্ভেয়ার থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে অফিসটি শুন্য রয়েছে। মাসে একদিনেও খোলা হয়না অফিসটি। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ের সকল কার্যক্রম রংপুর ও সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আর এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে এই উপজেলার সেচকার্যক্রম। উপ-বিভাগীয় কার্যালয়টি বন্ধ থাকায় এলাকার কৃষকেরা পানি উন্নয়নের বোর্ডে সকল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান বলেন, কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসটি বন্ধ থাকায় কৃষকরা ঠিকমতো সেচ সুবিধা পাচ্ছেন না। এছাড়া প্রতিবছর উপজেলার বিভিন্ন ক্যানেল ভেঙে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন সঠিক সময়ে না আসায় ক্ষেতে পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে অফিসটি বন্ধ থাকার কারণে এস সেভেনটি ক্যানেলের বাঁধসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি অবৈধভাবে দখল করে সেখানে বেশ কিছু প্রভাবশালী ঘর-বাড়ি নির্মান করেছে।
কিশোরগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী (সৈয়দপুর অফিসে বসেন) মিজানুর রহমান কিশোরগজ্ঞ অফিস দীর্ঘদিন ধরে তালাবন্ধ থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, প্রকল্প এলাকায় থাকার কারণে আমাদের অফিসে বসা কম হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মাঝে মধ্যে কিশোরগজ্ঞ পাউবো অফিসটি খোলা হয় স্বীকার করে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার বলেন, জনবল কম থাকায় সৈয়দপুর অফিস থেকে সেখানকার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন