বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খুলনায় এনটিভি সাংবাদিক তৈয়বের নি:শর্ত মুক্তি চায় বিএনপি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আ’লীগের

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২১, ৭:০৩ পিএম

খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার এনটিভি’র সাংবাদিক আবু তৈয়র মুন্সীর নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ তার দৃষ্টান্তমূলক ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনার বিতর্কিত ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের মালিকানাধীন মুন স্টার পলিমার এক্সপোর্ট লিঃ শুল্ক ফাঁকি দেয়ায় মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটিকে অর্থদন্ড ও লাইসেন্স বাতিলের ঘটনা জনসম্মুখে তুলে ধরায় তালুকদার আব্দুল খালেক মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সির বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। খুলনা মহানগর বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে স্বাধীন ও বিরোধী মত দমনের কালো কানুনে খুলনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি, এনটিভির ব্যুরো প্রধান ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নে সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আবু তৈয়েব মুন্সির বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়েরে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়েছেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

অন্যদিকে, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আজ বুধবার পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নগর সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেককে জড়িয়ে এনটিভি’র সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সি যে অসত্য, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যে প্রনোদিত দালিলিক প্রমান ছাড়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ব্যক্তি আক্রোশে সংবাদ দিয়েছেন। সংবাদের মধ্যে কোন তথ্যই সত্য নয়। যে সংবাদ তার আইডিতে প্রকাশিত হয়েছে সেটা শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত আক্রোশ, এখানে সাংবাদিকতার লেশমাত্র দেখা যায়নি। কারন সাংবাদিক হিসেবে কোন সংবাদ লিখলে তার জবাবদিহিতা থাকে। সেখানে কোন মিথ্যা, ব্যক্তি আক্রোশ বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত তথ্য থাকে না। যা তার ব্যক্তিগত আইডিতে প্রকাশ করা হয়েছে। এটি পরিপূর্ণ সাংবাদিকতা ইথিক্সের পরিপন্থী। প্রকৃত পক্ষে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ২০১৭ সালের পূর্বে এই কোম্পানির সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের শেষের দিকে কোম্পানীর মিটিং করে তিনি ওই সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করার সময় তার হলফনামায় সকল ঘটনা তুলে ধরেছেন। যা খুলনার সকল সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদরা জানেন। কারন এই ঘটনা নিয়ে ২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে বিএনপি সিটি মেয়রের নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন। সেই আপিলে বিএনপি তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমান করতে না পারায় সেটি খারিজ হয়ে যায়। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সি যে সংবাদ করেছেন সেটি ব্যক্তিগত আক্রোশের বর্হি:প্রকাশ মাত্র।’ বিবৃতিতে তালুকদার আব্দুল খালেকের সম্মান ক্ষুন্ন করায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সাংবাদিক তৈয়ব মুন্সীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে এবং এ ধরনের হলুদ সাংবাদিকতা থেকে বিরত থাকার জন্য সাংবাদিক সহ সকল গণমাধ্যমের কর্মী ও সোশাল মিডিয়ার সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিদাতারা হলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন