চট্টগ্রামে কঠোর লকডাউন এখন একেবারেই ঢিলেঢালা। সড়কে আর হাটবাজারের চিত্র দেখে বুঝার উপায় নেই লকডাউন চলছে। সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলছে। রিকশা আর ব্যক্তিগত গাড়ির ভিড়ে গতকাল শনিবারও কয়েকটি এলাকায় যানজট দেখা গেছে। অলিগলি, হাটবাজার সর্বত্রই মানুষের ভিড় জটলা হুড়োহুড়ি। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা।
এদিকে সরকারি ঘোষণার একদিন আগেই খুলে যায় নগরীর বেশির ভাগ মার্কেট, শপিং মল এবং দোকানপাট। আজ রোববার থেকে মার্কেট শপিং মল, দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। কিন্তু গতকাল থেকে দোকানপাট খুলতে শুরু করেছেন অনেক দোকানি। তাদের যুক্তি পণ্যসামগ্রী পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রস্তুতির জন্য তারা দোকানপাট খুলেছেন।
লকডাউনের মধ্যেও অনেক দোকানপাট, মার্কেট সীমিত আকার খোলা রাখেন ব্যবসায়ীরা। সীমিত আকারে কেনাবেচাও চলে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে এমন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়। তবে শুক্রক্রবার মার্কেট ও দোকান পাট খোলার আগাম ঘোষণা পেয়েই অনেকে গতকাল দোকান খুলতে শুরু করেন। নগরী আগ্রাবাদ, সিইসি মোড়, রেয়াজুদ্দিন বাজার, স্টেশন রোড, বহদ্দারহাট, ইপিজেড, হালিশহর, পতেঙ্গাসহ অনেক এলাকায় দোকানপাট মার্কেট স্বাভাবিক সময়ের মতো খোলা ছিলো। বিকেলে এসব দোকানপাট ও মার্কেটে ক্রেতা সমাগমও হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ঈদে তারা কোন বেচাকেনা করতে পারেননি। এবারও তাদের লকডাউনের মুখে পড়তে হয়েছে। ঈদের বাজার সামনে রেখে তারা সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মার্কেট খোলার ঘোষণার পর গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা। তারা বলছেন, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। এই অবস্থায় গণপরিবহন চালু না হলে তাদের না খেয়ে মরতে হবে। লকডাউনে চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টম হাউস, ইপিজেডসহ কলকারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। আমদানি-রফতানি মালামাল ও পণ্যপরিবহনও চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন