হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা সহ এখন দু টানায় । অরাজনৈতিক এ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমির মরহুম আল্লামা শাহ আহম্মদ শফির মৃত্যুর পর হেফাজতের কয়েকজন নেতা মিলে তাড়াহুড়া করে আগের কমিটি হতে আহম্মদ শফির ছেলে মাওঃ আনাচ মাদানি, সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাওঃ মইনউদ্দীন রুহি,ও মুপতি ফয়জুল্লা সহ আরো কয়েকজন প্রভাবশালি নেতাদের বাদ দিয়ে যে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে সে কমিটি কিন্তু খুব বেশি দিন টিকতে পারেনি। মাত্র সাড়ে চার মাসের মাথায় খোদ আমির মাওঃ জুনাইদ বাবু নগরী বিলুপ্ত ঘোষানা করেন। হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি এত অল্প সময়ে বিলুপ্ত হবে তা নেতারাও কল্পনা করতে পারেনি। এ কমিটি বিলুপ্ত হওয়া মাত্রই জনতার সামনে দেখা মিলে সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মইনুউদ্দীন রুহি তিনি তার প্রতিক্রিয়াতে জানান, কমিটি বিলুপ্ত করায় তিনি সাবেক আমির জুনাইদ বাবুনগরী তার ওস্তাদকে সাধুবাদ জানান, তিনি বলেন সর্ব সম্মতিক্রমে সবার মতামত নিয়ে হেফাজতের কমিটি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন। সবাই ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ কমিটি করার দরকার। পাশাপাশি সাবেক আমির মরহুম আহম্মদ শফির ছেলে মাওঃ আনাচ মাদানি বলেন,, হেফাজতে ইসলাম কারো একা সংগঠন নয় সবায় মিলে ইসলামের বিরোদ্দ্ব সকল ষড়যন্ত্র রুকে দাঁড়াবার সংগঠন। এ সংগঠন কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। বিগত কয়েক দিন আগে যে কমিটি বিলুপ্ত হলো উত্ত কমিটিতে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক করে এমন ব্যত্তিও রয়েছে তাহা হেফাজতে ইসলাম কাম্য করেনা। আল্লাম আহম্মদ শফি ও আল্লামা জুনাঈদ বাবু নগরী সাবেক এই দুই হেফাজত আমিরের অনুসারীদের নিয় হেফাজত ইসলাম এখন দু টানায় পড়ে ভাসছে। কারন অনেকেই মনে করেন এবার হেফাজতে ইসলামের মধ্যে সাবেক দুই আমিরের অনুসারির নেতারা নেতৃত্ব থাকছে।
এদিকে বর্তমানে হেফাজতে ইসলাম এমন এক পর্যায়ে পৌছে যার অবস্হা এখন দু টানায় পড়ে আছে। তবে নতুন কমিটি গঠন হলে সে কমিটিতেও হয়তো বাদ পরা হেফাজতের কিছু নেতাকে নিিয়ে শত্তি শালি কমিটি করা হবে বলে মনে করেন হেফাজত নেতারা। আগের কমিটিতে বাদ দিলেও নতুন কমিটিতে বাদ পরাদের আনা হবে বলে জানা যায়। ২০১০ সালে প্রতিষ্টিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রথম প্রতিষ্টাতা আমির ছিলেন মরহুম আল্লামা শাহ আহম্মদ শফি, তার মৃত্যুর পর ১৫ নভেম্বর দিতীয় কমিটি গঠন হয়। সে কমিটিতে আমির হয় হাফেজ মাওঃ জুনায়েদ বাবু নগরী সে কমিটি সাড়ে চার মাসের মাথায় বিলুপ্ত করে আহ্বা য়ক কমিটি গঠন করলেও তাও বাবু নগরী আহ্বায়ক। আগামী কাউন্সিলেও কি বাবুনগরী হেফাজতের আমির হবেন, তা নিয়ে এখন সাধারন মানুষের মাজে শুরু হয়েছে আবারো জল্পনা কল্পনা। সারা দেশের তৌহিদী জনতা ও হেফাজতের নেতা কর্মীর মাজে এ আ লোচনা। এ আলোচনার শেষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তাহা এখন সাধারন মাানুষের দেখার বিষয়। তবে হেফাজতের বড় দুটি পদ হাটহাজারী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রনের বাইরেও চলে যেতে পারে ধারনা অনেকের।তবে আল্লামা আহম্মদ শফির মতো হেফাজতের যোগ্য নেতা হওয়ার বা আলেম আছে কিনা কারো তেমন জানা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন