রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

করোনার প্রভাবে ফাঁকা ঈদ বাজার

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টুপি, সালোয়ার, ব্লাউজ, পেটিকোট, সেলাই ছাড়া থ্রিপিস ইত্যাদি থানকাপড়ের দোকানগুলো বেচাকেনা শেষ করতো রমজানের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে। করোনা প্রতিরোধে সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে এবার ঈদ বাজারে ভাটা পড়েছে। লকডাউনের মধ্যেই কয়েকদিন ধরে দোকানপাট খোলা রাখা হলেও বেচাকেনা নেই বললেই চলে। এমন চিত্র গত কয়েক দিন ধরে চোখে পড়ছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ বাজার।

কোম্পানীগঞ্জ কলেজ মার্কেট সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মজনু বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির খবর, তীব্র খড়তার উত্তপ্ত গরম, গণপরিবহন বন্ধ, কর্মজীবীদের বেতন-বোনাসের অপেক্ষাসহ নানা কারণে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। তিনি আরো বলেন, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে আড়াই হাজার ছোট-বড় দোকানে ২০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঈদ বাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন। আশা করছি, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রেডিমেড পোশাক পণ্যের ঈদ বাজার চাঙা হবে। থান কাপড় বা কাটা কাপড়ের ব্যবসায়ীরা এবার লোকসানে রয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে মফস্বলের অনেক দোকান পাইকারি পণ্য নিয়ে যায়। কিন্তু করোনা মন্দার কারণে এবার তা বন্ধ বললেই চলে। এতে বন্ধ রয়েছে দোকানিদের কালেকশন বা বাকি টাকা আদায়।

আলিফ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রহিম বলেন, ঈদের বেচাকেনার জন্য প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ করেছে। এখন বেচাকেনা খুবই খারাপ হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে টিকে থাকাই কষ্টকর হবে।

কোম্পানীগঞ্জ বাজার কমিটির সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে যাতে গ্রাহকেরা কেনাকাটা করতে পারেন, তার জন্য প্রতিটি দোকানকে কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক রাখার বিষয়টি সিরিয়াসলি মনিটরিং করছি আমরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন